“বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার মামলা নং-৪১, তারিখ- ২১ জুন ২০২৪ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০২/৩০৭/৩৮০/৪২৭/৩৫৪/৫০৬ দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ওয়ারেন্টভুক্ত ৭নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মো: রায়হান চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন বৈলতলী মটরপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক দল গত ১৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ১৯৩০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ রায়হান (২৫), পিতা- মো: আজাদ, সাং- আন্ডারচর, থানা- সুধারাম, জেলা- নোয়াখালী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করতঃ বর্ণিত মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি হওয়ার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।