১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় মাদক পরিবহন করে দেশব্যাপী মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা ও দেশব্যাপী মাদকদ্রব্যের বিস্তাররোধে ‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ এই স্লোগানে উজ্জ্বীবিত হয়ে র্যাব-১৫, কক্সবাজার কর্তৃক প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, যাত্রি বেশে একজন ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য(গাজাঁ) সহ মারসা বাসযোগে (যাহার রেজিঃ নং- চট্ট- মেট্রো-ব-১১-১২১৪) চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সদর ব্যাটলিয়নের একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখ অনুমান ১১.৫০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার গামী মহাসড়কের রামু বাইপাসের উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। উক্ত স্থানে চেকপোষ্ট তল্লাশী চলাকালীন মারসা পরিবহনের বর্ণিত যাত্রিবাহী বাসটি দেখে থামানোর সিগনাল দিয়ে গাড়িটি তল্লাশি করে। তল্লাশিকালে গাড়ির ভিতরে থাকা একজন ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তার হেফাজতে থাকা খাকি কাগজের কার্টন হতে সর্বমোট ১৪ (চৌদ্দ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিস্তারিত পরিচয়-মোঃ আরিফ হোসেন(২৪), পিতা-নুরুল ইসলাম, মাতা-বুলবুল আক্তার, সাং-রশিদাবাদ, ২নং ওয়ার্ড, সুমননন্দি ইউনিয়ন, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম বলে জানা যায়। অভিযান পরিচালনাকালে আটককৃত আসামী জানায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয় করিয়া আসছে এবং চট্টগ্রাম শহর হতে গাজাঁ বিভিন্ন সময়ে নিয়ে এসে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি দরে সরবরাহ করে থাকে। উপরোল্লিখিত গাঁজাসহ বর্ণিত স্থানে র্যাবের আভিযানিক দলের কাছে মাদক কারবারী ধৃত হয়।
৪। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে ।
—–ধন্যবাদ—-