কক্সবাজার রামু থানাধীন কাইম্যার ঘোনা এলাকায় অভিনব কায়দায় গাড়ির চেসিসের ভিতর ঢালাই করে লুকায়িত ১০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ একজন মাদক কারবারী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদক পাচার করছে মর্মে তথ্য পায় র্যাব। উক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতকরণ ও মাদক কারবারীদের আইনের আওতায় আনা এবং মাদকের প্রসার রোধে র্যাব-১৫ গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে একটি পিকআপযোগে একজন মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে কক্সবাজার শহরের দিকে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ০৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডস্থ কাইম্যার ঘোনা এলাকার টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের ইন্টারন্যাশনাল এমিউজমেন্ট পার্কের বিপরীত পাশের মহাসড়কের উপর চেক পোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। চেকপোষ্ট চলাকালীন সময়ে র্যাবের আভিযানিক দল উল্লেখিত গাড়িটি দেখে থামানোর সংকেত দিলে উক্ত পিকআপ গাড়িটি সন্দেহজনকভাবে কৌশলে দ্রুত চেকপোষ্ট অতিক্রম করার চেষ্টাকালে পিকআপসহ (যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং-ঢাকা মেট্রো-ঠ-১১-৩৮৮২, চেসিস নং-LY131-0003251 এবং ইঞ্জিন নং-দৃশ্যমান নয়) একজন মাদক কারবারী’কে আটক করতে সক্ষম হয়। অতঃপর বিশেষ কায়দায় গাড়ির চেসিসের ভিতর ঢালাই করে লুকায়িত অবস্থায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির গাড়ি তল্লাশী করে সর্বমোট ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়: মোঃ আলম(৩৫), পিতা-সৈয়দ আলম, মাতা-নুর জাহান, সাং-কেরুনতলী, পশ্চিম পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। সে বড় বড় ইয়াবার চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক নিজের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে মজুদকৃত ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন সময়ে জব্দকৃত পিকআপ গাড়ির বিভিন্ন অংশে ঢালাই করে অভিনব সব কৌশল অবলম্বন করে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়।
৪। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতাকৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
———ধন্যবাদ——–