বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে মানব পাচার চক্রের প্রলোভনে পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়া একজন নারী ভুক্তভোগী ভিকটিম পালিয়ে আসার পর তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কথা। উক্ত সিন্ডিকেট চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি থেকে শুরু করে যশোর জেলার বেনাপোল পর্যন্ত বিস্তৃত। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সনাক্ত হয় উক্ত মানব পাচার চক্রের বেশ কিছু দালাল এবং সীমান্ত পারাপার করতে সহায়তা করার লাইনম্যান।
ভুক্তভোগী ভিকটিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৪ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৪, তারিখঃ ২৪ জুন ২০২৪ইং, ধারা-২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬(২)/৭/৮(২)/১১।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে অব্যাহত রাখে। নজরদারির একপর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ঝুমু এবং পারভিন আক্তার চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি ষ্টেশনে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ২৭ জুন ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৫৩০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর মানব পাচার মামলার আসামি ১। ঝুমু (৩০), স্বামী-মোঃ তারেক, সাং-জালিয়াপাড়া, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম; বর্তমানে-দিদার বিল্ডিং, চন্দ্র নগর আবাসিক এলাকা, এবং ২। পারভিন আক্তার (২৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-বালুচড়া, উভয়ের থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগরী’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরোক্ত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করতঃ তারা বর্ণিত মামলার ২ নং এবং ৩নং এজাহারনামীয় আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশি বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে আসছিল মর্মে জানায়। উল্লেখ্য, উক্ত মানব পাচার মামলার ১নং আসামি মোঃ তারেক গত ২৪ জুন ২০২৪ইং তারিখে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদেরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত