কক্সবাজারের সদর থানাধীন পিএমখালী ইউনিয়নের ধাউনখালি এবং কলাতলীর মেরিন ইকো রিসোর্ট থেকে অবৈধ বিদেশী অস্ত্র চোরাচালান চক্রের দুই সদস্যকে একটি বিদেশী পিস্তল ও একটি মডিফাইড.৩০৩ রাইফেল এবং এ্যামুনেশনসহ র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সব সময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সৃষ্টিকাল থেকে এলিট ফোর্স র্যাব জঙ্গি, মাদক ব্যবসায়ী, অপহরণকারী, ছিনতাইকারী, মানবপাচারকারী, প্রতারক, চাঁদাবাজ, বিভিন্ন মামলার আসামী, শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক ২০২৩ সালে ১৬৩ জন এবং ২০২৪ সালে অদ্যাবধি পর্যন্ত ৮৬ জন নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজারে রামুতে কয়েকটি হত্যাকান্ড ও চোরাচালান চক্রের দুইটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। র্যাব কর্তৃক পর্যালোচনায় এ সকল হত্যাকান্ডে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি বিদেশী অস্ত্রে ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। এ সকল অস্ত্রের উৎস ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের তৎপরতা প্রতিরোধে র্যাব-১৫ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, পিএমখালীর ধাওনখালি গ্রামে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নিকট কিছু বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর চৌকস আভিযানিক টিম একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হুমায়ুন কবির নামে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে তার শয়নকক্ষের খাটের তোষকের নিচ থেকে ০২ রাউন্ড গুলি লোডেড অবস্থায় ০১টি বিদেশী পিস্তল উদ্ধারসহ গ্রেফতার করে। অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, এই অস্ত্রগুলো সে কলাতলীর রাজু নামক এক ব্যক্তির নিকট থেকে সংগ্রহ করে থাকে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজী জাফর সাদিক রাজুর মালিকানাধীন কলাতলী-মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে অবস্থিত মেরিন ইকো রিসোর্টে অভিযান পরিচালনা করে রাজুর বিশ্রাম কক্ষ থেকে ০১টি মডিফাইড .৩০৩ রাইফেল ও ০৫ রাউন্ড এ্যামুনেশন’সহ রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪। গ্রেফতারকৃতদের বিস্তারিত পরিচয় :
(১) কাজী জাফর ছাদেক প্রকাশ রাজু (৪০), পিতা-আবদুস সবুর চৌধুরী, সাং-মধ্যম বাহারছড়া, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার।
(২) হুমায়ূন কবির (২৪), পিতা-কবির আহাম্মদ, সাং-ধাউনখালি, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার।
৫। জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানায় যে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মূলত খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে চোরাচালান করা হয়। খাগড়াছড়ির স্থানীয় একটি চক্র এই অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ত। তারা তাদের বিভিন্ন এজেন্ট এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে এই অস্ত্রগুলো সরবরাহ করে থাকে। এই চক্রটি ৮০-৯০ হাজার টাকা মূল্যে একটি বিদেশি পিস্তল তাদের এজেন্টের নিকট বিক্রি করে। পরবর্তীতে অস্ত্রগুলো বিভিন্ন হাত বদলে প্রান্তিক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিকট দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজু ফটিকছড়ির জাবেদ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে এই অস্ত্রগুলো খাগড়াছড়ি থেকে সংগ্রহ করে থাকে এবং গ্রেফতারকৃত হুমায়ুন সহ আরো কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, রামুর গর্জনিয়ার চোরাকারবারি চক্র ও মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের নিকট দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা মূল্যে এ সকল বিদেশি অস্ত্র দীর্ঘদিন ধরে বিক্রয় করে আসছে বলে জানায়।
৬। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত রাজু ও হুমায়ুন আরো জানায় যে, ২০২০ সালে মাদক মামলার গ্রেপ্তার হয়ে রাজু, হুমায়ুন এবং ফটিকছড়ির জাবেদ একই কারাগারে ছিলেন। সেখানে তাদের পরিচয় এবং সখ্যতা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তারা জামিনে বের হয়ে এই অস্ত্র ব্যবসা শুরু করেন। কাজী জাফর ছাদেক প্রকাশ রাজু এর রেকর্ডপত্র যাচাই করে ০২টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ০১টি হলো মাদক মামলা এবং ০১টি মারামারি মামলা। অপরদিকে হুমায়ূন কবিরের রেকর্ডপত্র যাচাই করে মাদকসহ ০৩টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত রাজু এবং হুমায়ুনের তথ্যে যে সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নাম উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালিত হবে।
৭। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
—–ধন্যবাদ—–
ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান মহাদয়ের সঙ্গে জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়
দিনাজপুর জেলা কমিটির সঙ্গে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটির চেয়ারম্যান মো মাহাবুবুল ইসলাম মহাদয়ের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভাটি অনুষ্ঠিত হয় দিনাজপুর ইনস্টিটিউ...