র‌্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, গণ-মানুষের নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে এ বাহিনী মাদক, অস্ত্র, জঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে ইতোমধ্যে জনমনে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধ দমনে র‌্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি।

ইতোপূর্বে যে সকল জঙ্গি ও জলদস্যুরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে অন্ধকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়েছে তাদের আত্মসমর্পণ, পুনর্বাসন ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে র‌্যাব।

পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানাধীন আলীপুর এলাকা হতে চেক জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা, ২ টি পৃথক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক আসামী র‌্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের অভিযানে গ্রেফতার
বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার চেক জালিয়াতি মামলার সাজা প্রাপ্ত চক্রের মূলহোতা পটুয়াখালী এলাকায় অবস্থান করতেছে মর্মে জানতে পেয়ে বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা হতে বর্নিত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য লিখিত ভাবে অধিযাচন পত্র প্রেরণ করে। বিষয়টি র‌্যাবের নজরে আসলে র‌্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিশ্লেষণ করে এবং অপরাধীর অবস্থান নিশ্চিত করে অদ্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা ০২ (দুই)টি পৃথক মামলার ওরেন্টভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম, পিতা-মৃত হাছেন আলী বেপারী, সাং-ভাষা, পোস্ট-নাটাইখালী, থানা-কচুয়া, জেলা-বাগেরহাট‘কে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানাধীন আলীপুর এলাকায় নদীতে নৌকাতে লুকাইত অবস্থা হতে গ্রেফতার করে। আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫০০০০০(পঁচিশ লক্ষ) টাকার অধিক টাকা আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।