নিজস্ব প্রতিবেদক,জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার সওদাগর পাড়া বাসিন্দা রেজাউল করিম, পিতাঃ আব্দুল বারিক ০২/০২/২০১৬ সালে নিম্ন তফসিল বর্ণিত দুই শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর পর এক শতাংশ জমির মালিক মোঃ নাছির উদ্দিন এবং তার ছেলে ভূমিদস্যু মোঃ আবু তালেব(৫৫) ক্রেতা রেজাউল করিম কে বুঝিয়ে দেন এবং বাকি এক শতাংশ জমির মালিক এবং তার ছেলে ভূমিদস্যু পরে দিবে বলে আশ্বাস দেয় ইতিমধ্যে ২০২১সালে জমির মালিক মোঃ নাছির উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন অথচ আজ ২০২৪ সাল প্রায় ০৮ বছর হয়ে যাচ্ছে কিন্তু জমির মালিকের ছেলে ভূমিদস্যু মোঃ আবু তালেব (৫৫) অবৈধভাবে জমি দখল করে আছে। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় গ্রাম্য মাদবর,জমির মালিকের আত্মীয় স্বজনরা আলোচনা টেবিলে বসলে জমি দিতে পারবে না বলে হামলা ও মৃত্যু হুমকি দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি অতিবাহিত হয়ে যাওয়া ঈদ-উল-আযহার পরের দিন ১৮/০৬/২০২৪ ইং তারিখে আবারও শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধান শূরা করার জন্য জমির মালিকের আত্মীয় স্বজন নিয়ে এক আলোচনা টেবিলে বসলে পরে অতীতের মত জমি দিতে পারবে না বলে নানা ধরনের হামলা হুমকি দিয়ে থাকে। অবশেষে জমি ক্রেতা রেজাউল করিম আর উপায় না পেয়ে নিরুপায় হয়ে গত ১৯/০৬/২০২৪ ইং তারিখে সকাল ১১ঃ০০ ঘটিকায় বকশীগঞ্জ থানার শরণাপন্ন হলে থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করতে বলে।সেই মোতাবেক জমি ক্রেতা রেজাউল করিম থানায় মামলা দায়ের করলে বকশীগঞ্জ থানার এস আই(পুলিশ) তারেক মাসুদ অভিযোগটির তদন্তভার নিয়ে সৌরজমিনে এসে তদন্ত করে জমি ক্রেতার অভিযোগ সত্য বলে নিশ্চিত করে এবং সৌরজমিনে জমির দলিলাদি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জমি শনাক্ত করে জমি ক্রেতা রেজাউল করিম কে আমিনের মাধ্যমে জমি বুঝে নিতে বলা হয় এবং অভিযোগের বিবাদী ভূমিদস্যু মোঃআবু তালেব(৫৫) কে জমি দখল দেয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক জমি ক্রেতা রেজাউল করিম পরের দিন ২০/০৬/২০২৪ ইং তারিখে বেলা ১২ঃ০০ ঘটিকায় আমিন নিয়ে গিয়ে বিবাদী মোঃ আবু তালেব সহ ভূমিদস্যুর ছেলে যথাক্রমে গার্মেন্টসকর্মী হান্নান(২৫), নেশাখোর সন্ত্রাসী হাকিম(২০) এবং তার মেয়ে তাছলিমা(৩০) এবং তার স্ত্রী হাবেজা(৪৫) অতর্কিতভাবে হামলা চালায়,ইট পাটকেল ছুড়ে মারে। জমি ক্রেতা রেজাউল করিম আবারও নিরুপায় হয়ে থানার শরণাপন্ন হলে থানা কর্তৃপক্ষ পুনরায় উক্ত ঘটনার উপর অভিযোগ দায়ের করিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে আসলে দেখা যায় আসামীরা পলাতক। বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি ছুটিতে আছে বলে জানান এবং ডিউটি অফিসারকে অভিযোগ নিয়ে তা দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। তবে এখন ঘটনাটি আইন প্রক্রিয়াধীন আছে।
*জমির তফসিলঃ*
মৌজাঃরাজেন্দ্রগঞ্জ,বি আর এস দাগ নংঃ২০৮২,খতিয়ান নংঃ৬৯২,জমির পরিমাণঃ২ শতাংশ।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত