:
২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রাণী শীল গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আঃ মমিন’কে দীর্ঘ ২৪ বছর পর ঢাকা জেলার ধামরাই এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
গত ০৮ অক্টোবর ২০০২ তারিখ সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা জের ধরে অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্রী পূর্ণিমা রাণী শীলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কতিপয় আসামি ভিকটিম ও তার মা বাবা ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং ভিকটিম পূর্ণিমা রাণী শীলকে জোর করে ধরে নিয়ে একটি কচু ক্ষেতে ফেলে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা অনিল চন্দ্র বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০৮, তারিখঃ ১০/১০/২০০১, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(৩)/১০(১)/৩০। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ বিচারক ১১ জন আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেককে ০১ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
ইতোমধ্যে ঘটনাটি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। র্যাব-১০ উক্ত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৩ জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রাণী শীল গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ২৪ বছর যাবৎ পলাতক আসামী আঃ মমিন (৪০), পিতা-শেতল, সাং-পূর্ব দেলুয়া, থানা-উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত মামলার পলাতক আসামী বলে স্বীকার করেছে। সে মামলা রুজুর পর হতে ঢাকার ধামরাইসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।