লক্ষীপুর সদর থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি খলিল প্রকাশ ইব্রাহিম খলিল’কে দীর্ঘ ১৬ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর সদর থানার মামলা নং-০৩, তাং- ০২ এপ্রিল ২০০৮, জিআর ২৮৫/০৮, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ মামলার এজারনামীয় প্রধান আসামি খলিল প্রকাশ ইব্রাহিম খলিল চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট বরিশাল বাজার শিল্প এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর যৌথ আভিযানিক দল গত ১১ জুন ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৪৩০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ খলিল প্রকাশ ইব্রাহিম খলিল (৩৮), পিতা-মোখলেছুর রহমান, সাং-দৌলতপুর, থানা-সুধারাম, জেলা- নোয়াখালী’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামি’কে জিজ্ঞাসাবাদে সে সূত্রে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে গত এপ্রিল ২০০৮ সালে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিহত ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে মামলা রুজু হওয়ার পর হতে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে সে চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ ১৬ বছর আত্মগোপন করে ছিল মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।