এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদ, খুন, ধ*র্ষণ, নাশকতা এবং প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধী চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়াও র্যাব বিভিন্ন সময়ে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টিসহ বিভিন্ন চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১৫ মে ২০৪ ইং তারিখ বগুড়া জেলার সদর থানার মালগ্রাম শান্তিনগর এলাকার মোঃ আলী জিন্না (৫৪) বগুড়া সদর থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার ছেলে আলী হাসান (৩২) ও আসামী সবুজ তারা দুই বন্ধু। কিছুদিন পূর্বে তার আলী হাসান জেলে থাকায় তার বন্ধু সবুজ তার বউয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে তারা আপোষ মিমাংসা করে পুনরায় একত্রে চলাফেরা করে।
এরই সূত্র ধরে গত ১৪/০৫/২৪ ইং তারিখ ভিকটিমকে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ধারালো দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে হত্যা করে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়া সদর থানার মামলা নং-৪৫, তারিখ ১৫/০৫/২৪ ধারা-৩০২/৩৬৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। যা বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ঘটনার পরপরই র্যাব-১২, , বগুড়া হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহিত সার্বক্ষনিক গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২, , বগুড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, রুজুকৃত মামলার আসামী গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থান করছে। এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১ জুন ২০২৪ ইং তারিখ অনুমান ২০,৩০ ঘটিকায় র্যাব-১২, , বগুড়া ও র্যাব-১, গাজিপুর পোড়াবাড়ীর যৌথ অভিযানে জিএমপি’র আওতাধীন কোনাবাড়ী থানার কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের নীচে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় ৩নং আসামী মোঃ সম্রাট সওদাগর (২৩), পিতা- মৃত সিরাজ সওদাগর, সাং- শহরদিঘী, থানা ও জেলা- বগুড়া এবং ৪নং আসামী মোছাঃ লিপি বেগম (১৯), স্বামী- মোঃ সম্রাট সওদাগর, সাং- শহরদিঘী, থানা ও জেলা- বগুড়াদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানা, বগুড়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।