কক্সবাজার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের পেন্ডলপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪০,০০০ ইয়াবা উদ্ধারসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্যসহ প্রাইভেটকার যোগে টেকনাফ বাজার থানা মোড় হয়ে সাবরাং বাজারের দিকে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৯ জুন ২০২৪ তারিখ অনুমান ১৩.২০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের আভিযানিক দল প্রাইভেটকারটি সনাক্তকরণসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের জন্য গাড়িটি’কে থামানোর লক্ষ্যে বারংবার সংকেত দিতে থাকে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গাড়িটি দ্রুত গতিতে চালানো এবং একপর্যায়ে টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের পেন্ডলপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রাইভেটকারটি রেখে পালানোর চেষ্টাকালে বাচ্চাসহ একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি তার নাম ঠিকানা প্রকাশসহ তার অপর ০৩ সহযোগী গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পালিয়েছে মর্মে স্বীকার করে। এছাড়াও উক্ত প্রাইভেটকারের পিছনের সিটের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা লুকায়িত অবস্থায় রয়েছে বলে জানায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও প্রাইভেটকারটি তল্লাশী করে প্রাইভেটকারের পিছনের সিটের ভিতর হতে সর্বমোট ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি (যার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-গ ৩১-০১৩৩) জব্দ করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়-সাদিয়া আক্তার (২২), পিতা-ফরিদ আহম্মদ, স্বামী-আবু বক্কর সিদ্দিক, মাতা-মাহমুদা বেগম, সাং-পেন্ডল পাড়া, ওয়ার্ড নং-০৫, ইউনিয়ন-সাবরাং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারী দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ।
তারা পরস্পর যোগসাজসে মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে মজুদকৃত ইয়াবার চালান এক স্থান হতে অন্যত্র নিয়ে বিক্রয়ের জন্য মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন যানবাহনের ব্যবহার করতো।
চক্রটি নিজেরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য নানাবিধ অভিনব পন্থা অবলম্বন করে দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়।
৪। উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।