শেরপুর প্রতিনিধিঃ অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামে এক বন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিউল ইসলাম শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেষ্ট রেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। জানা গেছে, ২০১৬ সালে তিনি বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তার বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জে। তিনি এখানে যোগদানের পরপরই বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জরিয়ে পরেন। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের এলাকার লোক হিসেবে দাপটে একই কর্মস্থলে ৮ বছর চাকুরি করেন। মন্ত্রী এলাকার লোক হিসাবে ৮ বছর চাকরি কালীল সময়ে তিনি কাউকেউ কোন প্রকার তোয়াক্কা করেননি বলে স্থানীয়রা জানান। তিনি ছিলেন একজন দাপটে বন কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে গত ৮ বছরে তিনি নানা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থের মালিক বনে গেছেন। তার এসব দুর্নীতির মধ্যে নিলামে কাঠবিক্রির অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটস্থ করেন। এভাবে তিনি গত ৮ বছরে একই কর্মস্থলে থেকে শুধু সরকারি অর্থই প্রায় ১০ কোটি টাকা হরিলুট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৩ মাস পুর্বে বালিজুরি রেঞ্জ থেকে তার বদলি হলে নতুন কর্মকর্তা যোগদানের পর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। পরে এঘটনাকে কেন্দ্র করে বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়। তার এসব অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের জন্য বিভাগীয়ভাতে ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা হলেন, আহ্বায়ক নেত্রকোনার সহকারী বনসংরক্ষক এ,এফ,জি মোস্তফা, ময়মনসিংহের সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহের উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা আ ছ ম রিদুয়ানুল হক, রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম, শেরপুরের এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ইতিমধ্যেই এ তদন্ত কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। গত ১০ বছরের রবিউল ইসলামের সকল কর্মকান্ডের তদন্ত করা হবে বলে জানান কমিটির কর্মকর্তারা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন কি পরিমানের দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।