
মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আলী আকবর’কে দীর্ঘ ১২ বছর পর মহানগরীর অলংকার মোড় এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানার মামলা নং-১০, তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১২ ধারাঃ ১৯৯০ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) টেবিল ০৩(খ) মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলী আকবর @ বাবুল চট্টগ্রাম মহানগরীর অলংকার মোড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ০২ জুন ২০২৪ ইং তারিখে বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি আলী আকবর @ বাবুল, পিতা-মৃত নুরুল হক, সাং-মধ্যম হুলাইন, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে সূত্রে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরোও জানা যায় যে, সে গত ২৬ আগস্ট ২০১২ইং সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানা পুলিশ কর্তৃক মইজ্যারটেক তিন রাস্তা মোড় এলাকায় ৯৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার হয় এবং দীর্ঘ দিন কারাবাসের পর জামিনে বের হয়। পরবর্তীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১২ বছর চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে ছিল মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে