শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটপাটের মহোৎসব চলছে।
স্থানীয় বালুদস্যুরা সোমেশ্বরী নদীর তাওয়াকোচা, বালিজুরি, খাড়ামুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে আসছেন।
অবাধে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কারনে নদীর দু’পাশের রাস্তাগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে পরেছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে।
দিনেরাতে এসব মেশিনের সাহায্যে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু । ১ জুন শনিবার বিকালে সরেজমিনে অনুসন্ধানের দেখা গেছে ৮/১০ টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু।
খাড়ামুড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। এসব ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনের পর ট্রাক ও মাহিন্দ্র যোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিট্রাক বালু ১০ /১২ হাজার টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা মূল্যের বালু। ফলে প্রতিবছর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব আয় থেকে।
জানা গেছে, স্থানীয় জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে জুনায়েদের নেতৃত্বে ১০ /১৫ জন বালুদস্যু এসব বালু লুটপাটের সাথে জরিত।
বর্তমানে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা মূল্যের বালু উত্তোলন করে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হয়, এসব দেখার যেন কেউ নেই। শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলা আছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আশরাফুল কবীরের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। কিন্তু এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত দুই দিনেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।