কক্সবাজারের পেকুয়া থানাধীন টইটং বাজার এলাকা থেকে দেশীয় তৈরী ০২টি এলজি’সহ একজন পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
২। সাম্প্রতিক সময়ে চকরিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চিংড়ি ঘের ও লবনের মাঠ দখল-বেদখল নিতে অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতি, গুলি বিনিময়, হত্যাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংঘঠিত হচ্ছে। উক্ত চিংড়ি ঘের ও লবনের মাঠ দখল-বেদখলের এই সন্ত্রাসী পন্থা দমন এবং এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পিছনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ এর উৎস কোথায় তা খুঁজে বের করার জন্য র্যাব ব্যাপক গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। ফলশ্রুতিতে চিংড়ি ঘের ও লবনের মাঠ দখলকারী ডাকাত দল, অস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎস সনাক্তকরণসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম হতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
৩। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ মে ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজারের পেকুয়া থানাধীন ২নং টইটং ইউনিয়নের পেকুয়া-বাঁশখালী রোড টইটং বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে তথ্য পায় যে, উক্ত বাজারস্থ একটি কুলিং কর্নারের সামনে রাস্তার দক্ষিণ পাশে একজন পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল উক্ত স্থানে পৌঁছামাত্রই সন্দেহজনকভাবে একজন ব্যক্তি পালায়নের চেষ্টাকালে তাকে আটক এবং উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে তার দেহ ও হেফাজতে থাকা ০১টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে ০২টি দেশীয় তৈরি এলজি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
৪। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয়-আব্দুল ছবুর (৪৬), পিতা-আব্দুর রহমান, মাতা-মৃত দিলোয়ারা বেগম, সাং-জয় নগর পাড়া (পশ্চিম চাম্বল), হাদিয়ার বাপের বাড়ী, ০১নং ওয়ার্ড, ১০নং চাম্বল ইউনিয়ন, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একজন পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী। সে মহেশখালী থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন উৎস হতে দেশীয় তৈরী অস্ত্র সংগ্রহ করে থাকে। পরবর্তীতে সে কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় চাহিদানুযায়ী অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি চিংড়ি ঘের ও লবনের মাঠ দখল-বেদখল কেন্দ্রিক সহিংসতাকারী ডাকাত দলের নিকট বিক্রয় করে থাকে। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে চট্টগ্রামস্থ বিভিন্ন উৎস হতেও দেশীয় তৈরী অস্ত্র সংগ্রহ করতো, যা পরবর্তীতে কক্সবাজারে নিয়ে এসে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নিকট সরবরাহ দিতো বলে জানা যায়।
৫। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
—–ধন্যবাদ—–