কক্সবাজার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহরীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৬,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ একজন মাদক কারবারী র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার
১। র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়ন দক্ষিণ মুহরীপাড়া গ্রামের কক্সবাজার লিংক রোড-টেকনাফগামী রাস্তার ডান পাশে সিকদার বাড়ীর ২নং গেটের সামনে কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ মে ২০২৪ তারিখ অনুমান ২২.০০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়ন দক্ষিণ মুহরীপাড়া গ্রামের লিংক রোড-টেকনাফগামী রাস্তার ডান পাশে সিকদার বাড়ীর ২নং গেটের সামনে পৌছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী তার নিকট মাদকদ্রব্য ইয়াবা রয়েছে এবং র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তার অপর এক সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত মাদক কারবারীর দেহ ও তার হেফাজতের থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশী করে ১৬,০০০ (ষোল হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়-শফিউল হক (৫৪), পিতা-মৃত আক্তার কামাল মুন্সী, মাতা-মৃত নূর জাহান বেগম, সাং-পূর্ব খুরুলিয়া শিকদারপাড়া, ৯নং ওয়ার্ড, ঝিলংজা ইউনিয়ন, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারী দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ এবং বিভিন্ন পন্থায় কক্সবাজার’সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদক বিক্রয় করতো।
৪। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।