১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠার সময় থেকে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, ধর্ষণ, অপহরনসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানী একটি অপারেশন দল কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর বাজারস্থ পলাতক আসামী অতুল পাল(৩৪), পিতা-মৃত-রমেন পাল এর টিন সেট বিল্ডিংয়ের শয়ন ঘরের ভিতরঅপারেশন পরিচালনা করে ৩০ গ্রাম গাঁজা ও ২৪ গ্রাম হেরোইনসহ আসামী ১। মো: শাওন মিয়া (২২) পিতা-মো জাহেদুল ইসলাম, মাতা-মৃত- রেবেকা, সাং -তারাপুর, ২। মোঃ হাবিব মিয়া (৩৫), পিতা- মোঃ সোহরাব আলী, মাতা- মোছাঃ রাজিয়া, সাং- নয়াপাড়া, ৩। মোঃ সাইদুল সরকার (২৯), পিতাঃ মৃত মফেজ সরকার, মাতা- জবেদা বেওয়া, সাং- গোপালহাটি, ৪। মোঃ পলাশ ইসলাম (২০) পিতা- মোঃ সাদেক আলী, মাতা- মোছা: সীমা বেগম, সাং-খুটিপাড়া, সর্ব থানা – পুঠিয়া জেলা- রাজশাহীগনদেরকে গ্রেফতার করে।
সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত আসামীগনকে জিজ্ঞাসাবাদে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও হেরোইন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে রেখেছিল বলে স্বীকার করে। স্থানীয় জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, ধৃত আসামীগন দীর্ঘদিন যাবৎ একে অপরের সহায়তায় অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইন বিভিন্ন উপায়ে অবৈধভাবে সংগ্রহ করে সেবন করে এবং উক্ত ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছে মর্মে স্বীকার করে।
২। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীগনকে জব্দকৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা ও হেরোইন সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজের দখলে রেখেছিল বলে মর্মে স্বীকার করে।
৩। উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীগনদের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার মামলা নং-২০, ধারা- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ সনের ৩৬ (১) সারণীর ১৯(ক)/২৫/৮(খ) ।