চট্টগ্রামে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে মূলহোতা সহ ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড পৌরসভা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন মাইক্রোবাস এবং সিএনজি থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে মূলহোতা সহ ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক, মিনি ট্রাক, বাস, সিএনজি এবং পন্যবাহী ট্রাক থেকে জোরপূর্বক অবৈধভাবে চাঁদা আদায় এবং বিভিন্ন চালকদের চাঁদার জন্য মারধর করা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। নজরদারির এক পর্যায়ে সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা সহ চাঁদাবাজ চক্রের বিভিন্ন হোতাদের সন্ধান পায় এবং চাঁদা আদায়ের কিছু চিত্র ধারণ করতে সক্ষম হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৩ মে ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৬৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড পৌরসভার কলেজ রোড মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে চাঁদা আদায়কালে আসামি ১। মোঃ ইকরাম হোসেন রানা (২২), পিতা-আব্দুস সালাম, সাং-পেশকার পাড়া এবং ২। মোঃ মহি উদ্দিন (২৮), পিতা-মোঃ হানিফ, সাং-মহাদেবপুর মৌলভীপাড়া, উভয় থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রামদের আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও দেহ তল্লাশী করে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে বিভিন্ন গাড়ী হতে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ৩ হাজার ৭ শত ২৫ টাকা এবং চাঁদা আদায়ের বিপুল পরিমান ভূয়া রশিদ উদ্ধার সহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন পরিবহন চালকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে নামে বে-নামে ভূয়া রশিদ এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে মাসিক এবং দৈনিক ভিত্তিতে মোটা অংকের অর্থ চাঁদাবাজি করে আসছিল। এছাড়াও উক্ত এলাকায় প্রতিদিন লাইনম্যানরা সকাল-বিকাল দুইটি শিফটে প্রতিটি ট্রাক, মিনি ট্রাক, বাস এবং সিএনজি অটোরিক্সা থেকে প্রতিবার আসা-যাওয়ার সময় ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি এবং আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় আসামি এবং আলামত হস্তান্তর করা হয়েছে।