নড়াইলে পূর্বশত্রুতার জেরে মাহাবুবুর রহমান ওরফে নিলয় মোল্যা(১৬) নামের এক শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। সে নড়াইল নড়াগাতি থানার টোনা গ্রামের মোঃ সুলতান আহম্মেদ ওরফে পিকু মোল্লার ছেলে। গত ০১-০৩-২০২৪ খ্রিঃ রাত ১০.০০ ঘটিকার সময় নড়াগাতী থানাধীন খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়ীয়া গ্রামস্থ মসজিদ সংলগ্ন দুলাল মোল্যা, পিং-মৃত ল্যাংটা মোল্যার বাড়ির উঠানে ওয়াজ মাহফিল শোনার জন্য যায়। রাত্র আনুমানিক ১০.৫৫ ঘটিকার সময় ৩নং আসামি মুসা খান মাহফিল থেকে নিলয় মোল্যাকে ডেকে ২০/২৫ গজ দূরে তালবাড়ীয়া গ্রামস্থ মৃত পরিমল দাশের বিভিন্ন গাছের বাগানের মধ্যে এনে ৪নং আসামি সজিব খানের হুকুমে ৪নং আসামিসহ সকল আসামিরা এলোপাতাড়ীভাবে চড়-থাপ্পর মারে। মারপিটের এক পর্যায়ে ২নং আসামি অশ্রু দাশ ভিকটিমকে ধরে রাখে এবং ১নং আসামি সাকিল খান চাকু/ছোরা দিয়ে নিলয় মোল্যার বাম পাশের পাজড়ে আঘাত করে গভীর ও গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তখন ভিকটিম নিলয়কে রক্ষা করতে তার বন্ধু তামিম এগিয়ে গেলে সকল আসামিরা তামিমকে ও চড়-থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে ১নং আসামির হাতে থাকা একই ছোরা/চাকু (সেভেন গিয়ার) দিয়ে তামিমকেও খুন করার উদ্দেশ্যে বাম পাশে পাজড়ে পর পর দুইটি আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন ভিকটিম নিলয় মোল্যাকে মুমূর্ষু অবস্থায় এবং তামিমকে গুরুত্বর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে ভিকটিম নিলয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং তামিমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় মৃত নিলয়ের বাবা মোঃ সুলতান আহমেদ @পিকু মোল্যা বাদী হয়ে ০৩ মার্চ নড়াগাতী থানায় এজাহার দায়ের করলে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনার সাথে সাথে নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ মেহেদী হাসান মহোদয়ের নির্দেশনায় আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মোঃ জাকির হোসেন জেলা সিসিআইসি টিমের সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অদ্য ২০ মে অত্র মামলার এজাহার নামীয় ১ নং আসামি সাকিল খান (১৭), পিতা- কামরুল খান, সাং- বি পাটনা, থানা- নড়াগাতি, জেলা- নড়াইলকে গ্রেফতার করে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।