র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এবং র্যাব-৩, সিপিএসসি এর একটি যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ১৫/০৫/২০২৪ ইং তারিখ ১৬১০ ঘটিকায় বরগুনা জেলার তালতলী ধানাধীন নিদ্রা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নারায়নগঞ্জ জেলার আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী হৃদয়(২২), পিতা-হুমায়ুন, সাং-পাগলা, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার বাসিন্দা ভিকটিম সামিনা(১৩) পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী।
স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আসামী হৃদয় প্রায়শই তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ভিকটিম সামিনা তা প্রত্যাখ্যান করলে আসামী হৃদয়(২২) তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন গত ২০/১০/২০২৩ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৭০০ ঘটিকায় ভিকটিম সামিনা কেনাকাটার উদ্দেশ্যে পাগলা বাজারে যায়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে ফিরে না আসায় তার পরিবারের সদস্যরা নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে। পরবর্তীতে গত ২৩/১০/২০২৩ইং তারিখ ভোড় ০৬০০ ঘটিকায় ভিকটিম সামিনা বাড়িতে ফিরে আসে।
বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় গত ২০/১০/২০২৩ইং তারিখে বাজার থেকে মিশুকযোগে বাড়িতে আসার পথে আসামী হৃদয়সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন আসামী তার বহনকৃত মিশুকের নিকট এসে মিশুক চালকের সহায়তায় তার দুই হাত বেধে মুখে রুমাল দিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম সামিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে আসামীরা তাকে পাগলা নয়াহাটি বাজারের কাছে রেখে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে ভিকটিমের মাতা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে, ফতুল্লা থানা পুলিশ আসামীকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৩, সিপিএসসি এবং র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প বরাবর অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। র্যাব বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বরগুনা জেলার তালতলী থানার নিদ্রা বাজার এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে পলায়নরত আসামী হৃদয়(২২)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত