নবদেশ২৪.কম
ইভটিজিংয়ের মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (৫১তম ব্যাচের) ছাত্রী ও নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাবিলা ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেছে করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে একই ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মহিউদ্দিন মিরাজ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আবিদ হোসেন রাফিকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা ও ছয় মাসের জন্য স্থগিত বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, গত গত বছরের ১৪ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার এদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সম্পর্কে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন ও গত বছরের ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিন বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, নারী শিক্ষার্থী ঘটনার দিন বা পরের দিন অভিযোগ না দিয়ে চার দিন পরে মধ্যরাতে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরে প্রক্টর বরাবর ইভটিজিং এর অভিযোগ দায়ের করেন যা তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঘটনাটিকে অন্য দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীদের রাতভর মারামারি বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলার পরিপন্থি। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনায় বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনা করে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিভিফেটের বিশেষ সভায় নিম্নে উল্লিখিত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে অর্থদণ্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নাবিলা ইসলাম বলেন, ‘আমি ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছিলাম। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে মিথ্যা অভিযোগ করল, বুঝতে পারছি না। যেহেতু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সেহেতু প্রশাসন শাস্তি দিয়েছে, এটা মেনে নিতেই হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই রাতে নাবিলা ইসলামকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় হলের ১৬ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত