স্বর্ণ চোরাচালান মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ আঃ রহিম @ লালচাঁন (২৪) দীর্ঘ ০৬ বছর পর গ্রেফতার।
১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
গত ১৪/১১/ ২০১৮ বেনাপোল সীমান্তে স্বর্ণ চোরাচালানকালীন সময়ে এক কেজি স্বর্ণের বার নিয়ে বিজিবির হাতে গ্রেফতার হন আসামী আঃ রহিম@লালচান (২৪)। কিছুদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান এবং কুস্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে জীবন ধারন শুরু করেন। উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে র্যাব ১২ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে থাকে। যার ধারাবাহিকতায় গত ১৪/০৫/২৪ র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্প গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন ছেউড়িয়া এলাকায় বর্ণিত মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী অবস্থান করছে। সেই মোতাবেক অত্র ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় অবস্থান নেয় এবং যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-৫৭, তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৮, জিআর-৭০৩/১৮, এসটিসি ০৯/২০১৯ ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০,০০০/-টাকা অর্থদন্ড প্রাপ্ত মোঃ আঃ রহিম @ লালচাঁন (২৪), পিতাঃ মোঃ ইউসুফ, সাং-পুটখালী (পূর্বপাড়া), থানা-বেনাপোল পোর্ট, জেলাঃ যশোরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।