নাটোরের লালপুরে এক শিক্ষার্থীকে (১২) অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে সাব্বির আলীকে (১৯)
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে অপর
আরেকটি ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন
আদালত
সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক
মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় দুইজনকে খালাস
প্রদান করেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত সাব্বির আলী লালপুর উপজেলার অমরপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। আর খালাস
প্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার অমরপুর এলাকায় ২০২০ সালের ২০ নভেম্বর
রাতে দুড়দুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে অপহরণ
করে সাব্বির আলী ও তার সহযোগী রা। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে
যোগাযোগ করলে সাব্বিরের বাবা ভিক্টিম মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়ে সময়ক্ষেপণ করতে
থাকেন।
পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে ভুক্তভোগীর বাবা সাদেকুল ইসলাম টে নু লালপুর থানায় বাদি
হয়ে সাব্বির আলী ও তার বাবা আব্দুল মান্নানের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩জনকে অজ্ঞাত আসামি
করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে অমরপুর নিজ বা ড়ি থেকে সাব্বিরের বাবা আব্দুল মান্না নকে গ্রেপ্তার করে। পরে
তার দেয়া তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০২১ সালের ১৬ মার্চরাতে সাব্বিরকে রাজশাহী
শহরের রাজপাড়া থানার বহরমপুর থেকে গ্রেপ্তারসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আদালতে
নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল কৌসুলি অ্যাড. আনিছুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে
ধর্ষণের দায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাব্বির আলীকে একটি ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম
কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অপর আরেকটি ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০
হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় আরও দুই আসামি আব্দুল মান্নান ও মুক্তার হোসেনকে খালাস প্রদান করা হয়। এ রায়ে
খুশি বাদিপক্ষ
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত