পটুয়াখালী সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুমকি থানার হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান ০২ জন আসামী মামলা রুজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প কর্তৃক গ্রেফতার।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অদ্য ইং ০৯/০৫/২০২৪ তারিখ সময় অনুমান ১৮ঃ২০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ০২ জন হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ১। আঃ ছত্তার হাওলাদার(৫৫), পিতা-মৃত মোহম্মদ চৌকিদার, সাং-কার্তিকপাশা, থানা-দুমকি, জেলা-পটুয়াখালী এবং ২। মোঃ সালাউদ্দিন বাপ্পী (৩৫), পিতা-আঃ ছত্তার হাওলাদার, সাং-কার্তিকপাশা, থানা-দুমকি, জেলা-পটুয়াখালী’দ্বয়কে ৩০২ ধারা (হত্যা মামলা) সংযোজিত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন পুরাতন ফেরিঘাট মাঝগ্রাম এলাকার নিজ বাসা হতে গ্রেফতার করে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আসামী নেছার চাঁদাবাজি করার জন্য মসজিদের সভাপতির অগোচরে মাহফিল দেওয়ার ঘোষণা দিলে আসামীপক্ষের সাথে মসজিদ কমিটির লোকদের কথা কাটাকাটি হয়। এতে আসামী নেছার অপমানিত বোধ করে এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আঃ ছত্তার ও সালাউদ্দিন বাপ্পী সহ অন্যান্য আসামীদের নিয়ে ঘটনার দিন ২৬/০৪/২০২৪ইং তারিখ সন্ধা আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় মাগরিবের নামাজের পরে ভিকটিম আবদুস সোবাহান ও মোশারেফ মুন্সির উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। আসামী হানিফ তার হাতে থাকা ধারালো বগি দা দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে সোবাহান মুন্সির মাথায় কোপ দিলে সে হাড়-মাংস কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় আসামী সালাউদ্দিন বাপ্পী তার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে জখমী মোশারেফ মুন্সির মাথায় আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। ফলে তার দুই চোখ খুলে বাহিরে চলে আসে। জখমী সোবাহান মুন্সি ও জখমী মোশারেফ মুন্সির ডাক চিৎকার শুনে শহীদ মুন্সি ও ইলিয়াস মুন্সিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদেরকেও ধারালো বগি দা দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে গুরুত্বর জখম করে। অন্যান্য সকল আসামীরা সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা জখমীদের খুন নিশ্চিত করার জন্য তাদের হাতে থাকা মোটা লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুত্বর নীলা-ফুলা জখম করে। আসামীদের জখমের কারনে খুন খুন রব উঠলে সকল আসামীরা অস্ত্র উচিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। উক্ত সময় জখমী ও আগত লোকজনেরা দোকানের বৈদ্যুতিক আলো ও বাজারের লাইটপোষ্টের আলোতে আসামীদের চিনতে পারে। এগিয়ে আসা লোকজনের সহায়তায় জখমীদের দ্রুত পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জখমীদের প্রথমিক চিকিৎসা দেয় এবং গুরুতর জখমী মোশারেফ মুন্সি ও সোবাহান মুন্সির অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় তাদের দ্রুত বরিশাল এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। আইসিইউতে ভর্তি থাকা অবস্থায় জখমী মোশারেফ মুন্সি গত ০৭/০৫/২০২৪ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০২৩০ ঘটিকায় মারা যায়। এ বিষয়ে পূর্বে পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায় একটি মামলা রুজু হয় (মামলা নং-০৭, তারিখঃ ২৯/০৪/২০২৪ইং, ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪) এবং মোশারেফ মুন্সির মৃত্যুর কারণে পরবর্তীতে (০৮/০৫/২০২৪ তারিখে) ৩০২ পেনাল কোড সংযোজিত হয় এবং আসামীদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। ঘটনাটি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব আসামীকে গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৯/০৫/২০২৪ইং তারিখ সময় আনুমানিক ১৮২০ ঘটিকায় র্যাব-৮ সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) দেওয়া তথ্য ও ইন্টেলিজেন্স উইং, র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর এর তথ্য বিশ্লেষণ এবং সার্বিক সহায়তায় উক্ত মামলার প্রধান ও অন্যতম ০২ জন পলাতক আসামী আঃ ছত্তার হাওলাদার(৫৫) ও মোঃ সালাউদ্দিন বাপ্পী(৩৫)’কে পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন পুরাতন ফেরিঘাট মাঝগ্রাম এলাকার নিজ বাসা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।