টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কিশোরগ্যাং কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমনের ঘটনায় কিশোরগ্যাং লীডারসহ ০২ জন‘কে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন ভাটপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব।*
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। জঙ্গিবাদ, মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, প্রতারকচক্র, অপহরণ, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কিশোর গ্যাং দমনের লক্ষ্যে র্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ নজরুল ইসলাম @ ওয়াসীম শিকদার(৪৫) টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় ১৫-২০ জন সদস্যের একটি কিশোরগ্যাং দল পরিচালনা করে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত উক্ত গ্যাং এর সদস্যদের নিয়ে নাগরপুর উপজেলায় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ০২/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৪৫ ঘটিকার সময় কিশোরগ্যাং লীডার মোঃ নজরুল ইসলাম @ ওয়াসীম শিকদার(৪৫) তার অন্যান্য গ্যাং সদস্যদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা নাগরপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্আলম মিয়া এর পুত্র এবং নাগরপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরী মোঃ তানভীর হোসেন তান্না (৩৮)কে নাগরপুর থানাধীন বেকড়া সাকিনস্থ
জনৈক শওকত চেয়ারম্যানের ইট ভাটার ফাঁকা জায়গায় পথরোধ করতঃ অতর্কিত আক্রমণ করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাড়ফাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। বাদীর ভাই মোঃ তানভীর হোসেন তান্না (৩৮) এর সহকর্মী মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিবাদীদের মারপিঠ থেকে ফিরানোর চেষ্টা করলে বিবাদীরা তাকেও মারপিঠ করে রক্তাক্ত জখম করে। তখন আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে গুরুতর আহত মোঃ তানভীর হোসেন তান্না‘কে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বাদীর ভাইয়ের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে বাদীর ভাই ভিকটিম মোঃ তানভীর হোসেন তান্না (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ ইমরান হোসেন @ রানা (৪৩) বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ০৮জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০২/৫৩, তারিখ-০৩/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/ ৩৭৯/৫০৬(২)/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ইং ০৯/০৫/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ অনুমান রাত ০০.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন ভাটপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিশোরগ্যাং লীডার মোঃ নজরুল ইসলাম @ ওয়াসীম শিকদার (৪৫), পিতা- মৃত জামাল শিকদার, গ্রাম- খাষ ঘুনিপাড়া, এবং কিশোরগ্যাং সদস্য বাদল শেখ @ কালা বাদল (২৮), পিতা- মৃত খালেক শেখ, সাং- কাঁচপাই, উভয় উপজেলা/থানা- নাগরপুর, জেলা- টাঙ্গাইলদ্বয়‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উপরোক্ত কিশোরগ্যাংয়ের কারণে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় সাধারণ জনগণ সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকতো। উক্ত গ্যাংয়ের লীডারসহ মোট ০২ জনকে আটক করায় নাগরপুর এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং র্যাবের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোরগ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত এজাহারনামীয় আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে নাগরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বাক্ষরিত/-
*মনজুর মেহেদী ইসলাম*
মেজর
উপ-পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭-৭১১৪৩৩