সেলিম বাবু স্টাফ রিপোর্টারঃ
মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষকের লিজ নেওয়া জমির কলাগাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে চিৎলা গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম ও মহীর উদ্দিনের ছেলে নফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৬ মে), সকালের দিকে গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া-জুগিন্দা গ্রামের মাঠে এ কলাগাছ কর্তনের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত লিজ নেওয়া জমির মালিক গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের আছান আলীর ছেলে মাসুদ রানা জানান, বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের কাছ থেকে ১ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কলার আবাদ করি আমি। ইতিপূর্বে নিজের বলে দাবী না করলেও দীর্ঘ ৭/৮ মাস ধরে গাছগুলো পরিচর্যা করে বড় করার পর এখন নিজেদের জমি বলে দাবী করছেন চিৎলা গ্রামের আনারুল ও নফিজ।
মাসুদ বলেন, আমি গরীব মানুষ। অনেক কষ্টে কলার আবাদ করে এখন প্রত্যেকটি গাছেই কলার কাদি পড়েছে। আর কয়েকদিন পর এসব কলা বিক্রির উপযোগী হবে। এমতবস্থায় আনারুল ও নফিজ এসে দাবী করছে আমিন দিয়ে জমি মাপার পরে এই জমির পূর্ব দিকে তাদের বেশ কিছু অংশ পাওনা হয়েছে এবং তাদের পাওনা জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু জমির মালিক মতিয়ার আমার লিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে জমি ছেড়ে দিতে নিষেধ করেছে। সেমতে আমি জমির কলাগাছের পরিচর্যা অব্যাহত রেখেছি কিন্তু হঠাৎ লোকমুখে শুনে জমিতে গিয়ে দেখি আনারুল ও নফিজ আমার ১ বিঘা জমির অর্ধশতাধিক কলাগাছ কর্তন করে ফেলেছে। এতে করে আমি ৫০ হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। উক্ত সময়ে কলা গাছ কর্তনে বাঁধা প্রদান করলে তারা আমাকে খুন-জখম করে ফেলবে এমন হুমকী-ধামকীতে আমি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসি।
মাসুদের কলাগাছ কর্তনের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের কঠোর বিচারের আওতায় আনাসহ ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়েছেন। তিনি সকলের সাথে আলাপ করে মঙ্গলবার এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।