নাগরপুর টাঙ্গাইল(প্রতিনিধি)টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার তরফরাম ঘুনিপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম মিয়ার ছেলে তানভীর হোসেন তান্না স্থানীয় কিশোরগ্যাংয়ের
হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বৃহস্পতিবার(২ মে)
সকালে একই উপজেলার বেকড়া গ্রামের রাস্তায় তার হামলা চালানো হয়। এ বিষয়ে
নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, তানভীর হোসেন তান্না নাগরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি
অফিসে মহুরী হিসেবে কাজ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি
সঙ্গীয় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে উপজেলা সদরে
যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেকড়া গ্রামের রাস্তায় তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ
করে খাস ঘুনিপাড়া গ্রামের মৃত জামাল শিকদারের ছেলে নজরুল শিকদার ওরফে
ওয়াসিম সিকদার(৪৫), একই গ্রামের কিশোরগ্যাংয়ের সদস্য মো. মান্নান
শিকদারের ছেলে আরিফ শিকদার(২২), আ. রউফ শেখের ছেলে মো. সাদ্দাম(২৮),
মোশারফ শিকদারের ছেলে জাহাঙ্গীর শিকদার(২৫), হুমায়ুন মাষ্টারের ছেলে
পাভেল(২৫), মো. বাক্কারের ছেলে হযরত আলী(২০), মো. জয়নালের ছেলে আবুল
হোসেন(২৫) সহ আরও ৬-৭জন কিশোর পূর্ব শত্রুতার জেরে চাপাতি, রামদা, লোহার
পাইপ, লোহার টপস্টিক ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
উল্লেখিত কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান তানভীর হোসেন
তান্নাকে পিটিয়ে-কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার সঙ্গী আব্দুল্লাহ আল মামুন
এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এ সময় স্থানীয়রা
এগিয়ে এলে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে
তানভীর হোসেন তান্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
আহত তানভীর হোসেন তান্নার ভাই ও থানায় অভিযোগকারী ইমরান হোসেন রানা
জানান, তার ভাইকে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা
অন্যায়ভাবে পিটিয়ে-কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তার ভাই হাসপাতালে মৃত্যুর
সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে
ইমরান হোসেন রানা বাদি হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়
তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।