চট্টগ্রাম মহানগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় বিশেষ অভিযানে ৩০ গাঁজা উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ জব্দ।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি পিকআপ যোগে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০১ মে ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজার সামনে মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকআপের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা পিকআপটিকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ আসামি ১। তোফায়েল আহম্মদ (২৭), পিতা-আবু তৈয়ব, সাং-পূর্ব দূর্গাপুর, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ ইছহাক (৪০), পিতা-মৃত নজির আহম্মেদ, সাং-বৈদ্যঘোনা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজারদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে উক্ত পিকআপের পিছনে মালামাল বহন করার জায়গা বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ০২টি প্লাষ্টিকের বস্তা হতে মোট ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগরীর এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মুল্য ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।