মিরপুর প্রতিনিধি#
কুষ্টিয়া দৌলতপুর হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের শশিধরপুর গ্রামের বাসিন্দা অসহায় এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত হজরত প্রমাণিকের ছেলে মন্টু পরামানিক (৫৫) এর বিরুদ্ধে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করিতেছি যে, মন্টু পরামানিক আমার সম্পর্কে চাচা শ্বশুর হয়। আমার স্বামীর জায়গা জমি না থাকার কারনে অনুমান ০৬ বছর পূর্বে মন্টু হোসেন তাহার জমিতে কাঁচা বাড়ি ঘর করে বসবাস করার জন্য বলে। সেখানে আমরা বাড়ি ঘর নির্মান করিয়া বসবাস করিতে থাকি। অনুমান ০৩ মাস পূর্ব হইতে মন্টু হোসেন আমাকে কু-প্রস্তাব দেয়। তাহার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামী তাহার জমি থেকে বাড়ি ঘর সরাইয়া নিতে বলে। এরপরেও আমি ও আমার স্বামী সেখানে বসবাস করিতে থাকি। গত ইং-০৮/০৩/২০২৪ তাং বেলা অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় আমাদের বাড়ির পশ্চিমে আসামীর পান বরজে পাটকাঠির খড়ি রহিয়াছে মর্মে জানায় এবং খড়ি আনার জন্য বলে। তখন আমি সরল বিশ্বাসে পান বরজের ভিতরে যাইয়া খড়ি গোছাইতে থাকি। তখন পিছন দিক থেকে উক্ত মন্টু আমাকে জড়াইয়া ধরে। আমার স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়া অঙ্গভঙ্গি করিয়া বুকে জড়াইয়া ধরে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমি ডাক- চিৎকার করি। তখন আমার ডাক-চিৎকারে সাক্ষী ১। মোঃ মাহাবুল ইসলাম (৩০), পিতা-নিয়ামত প্রামানিক, ২। মোঃ আমান (৩৫), পিতা-রফিজ, ৩। মোঃ আরিফুল ইসলাম (৩০), পিতা-চাঁদ আলী, সর্ব সাং-শশীধরপুর প্রামানিকপাড়া, ইউপি-হোগলবাড়িয়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ আরো অনেকে আগাইয়া আসিলে উক্ত আসামী আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালাইয়া যায়।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, কফিজ ও কামলা পেয়েছি। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি যদি সত্য হয়, তবে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত