র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানে অস্ত্র মামলায় ১৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
গত ২১ মে ২০১৫ ইং তারিখ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন মনোহরপুর গ্রামের আনার ডাক্তার এর বাঁশ বাগানের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র নিজ হেফাজতে রেখে অবস্থান করাকালে গ্রেফতার হন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মোঃ লালন হোসেন।
উক্ত ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় মোঃ লালন হোসেন এর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-৫, তারিখঃ ২১ মে ২০১৫, ধারাঃ-১৮৭৮ সালে অস্ত্র আইনের ১৯-এ, জিআর-৪২/১৫। উক্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ কুষ্টিয়ার বিচারক আসামীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। আটক হওয়ার পর প্রায় ০৬ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান মোঃ লালন হোসেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। জামিনের পর থেকে ফরিদপুর চলে যায় এবং সেখানে তিনি ভাঙ্গারীর দোকানে দৈনিক দিন মজুরি হিসেবে কাজ করে এবং নিজের পরিচয় গোপন রেখে তাকে আপন নামে পরিচয় দিয়ে পলাতক অবস্থায় বসবাস করে। উক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এবং র্যাব-১০, সিপিসি-৩ এর যৌথ আভিযানিক দল অদ্য ০৬ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ তারিখে সকাল ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ‘‘ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন রেলস্টেশন এলাকা’’ হতে পলাতক আসামী মোঃ লালন হোসেন (৩৫), পিতা-শুকুর আলী, সাং-মনোহরপুর, থানা-কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়াকে আত্মগোপনে অবস্থান করাকালে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।