র্যাবের যৌথ অভিযানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত
যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ নয় বছরের পলাতক এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) রাত ১০ ঘটিকার দিকে র্যাব-১২ ও র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা হতে উক্ত মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোছাঃ ময়না খাতুন (৩৭) কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিঃ এএসপি কিশোর রায় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। গ্রেফতারকৃত ওই আসামি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের মো. খাজার সাবেক স্ত্রী।
জানা যায়, গত ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তারিখে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার নওদাপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মনোয়ারা বেগমের বাড়ীর সামনে অবৈধ হেরোইন ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য নিজ হেফাজতে রেখে অবস্থান করাকালীন সময়ে গ্রেফতার হন ওই আসামি।
উক্ত ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় মোছাঃ ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-১, তারিখ-০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর ১(খ)। উক্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২৮ নভেম্বর ২০২১ সালে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ০১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড সাজা দিয়ে রায় প্রদান করেন। আটক হওয়ার পর প্রায় ০৭ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান মোছাঃ ময়না খাতুন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে তিনি ঢাকায় চলে যান এবং ঢাকায় বিবাহ করে সংসার শুরু করেন। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এ ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় সিপিসি- ২. র্যাব-৪ এবং সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাত ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকা হতে উক্ত মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোছাঃ ময়না খাতুন (৩৭), স্বামী-মোঃ খাজা, সাং-নওদাপাড়া, খানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত: “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে ব্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।