মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভাংচুর,ওয়ার্ডবয় ,নার্স ও ডাক্তারদের উপর হামলা
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে সর্বাত্মক কর্ম বিরতিতে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে মেহপরপুর জেনারেল হাসপাতালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় পুরুষ ওয়ার্ডের একজন রোগীর অ্যাটেনডেন্টকে ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করতে বলাতে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
জানা গেছে ,মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সাবেক নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা.আবুল কাশেমের পিতা আলী হোসেন (৭২) পুরুষ ওয়ার্ডের বি-৩২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছে। সকালে রুটিন ওয়ার্ড ভিজিট এর সময় রোগীর এটেনডেন্ট কে ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করতে বললে, তিনি উত্তেজিত হয়ে কয়েকজন কে ফোন দেন। এসময় ডা. আবুল কাসেমের ছোট ভাই ও শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতির ছোট ভাই সহ বহিরাগত আট দশ জন এসে ওয়ার্ড বয় ,নার্স ও ডাক্তারদের উপর চড়াও হয়। এসময় ওয়ার্ড বয় হিমেল মাস্টার সেলিম সহ কয়েকজন আহত হয়।
হামলার ঘটনা জানতে পেরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এসে সকলকে তার নিজের রুমে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার ফাঁকে বহিরাগত আরো কয়েকজন আসলে সেখান থেকে বের হয়ে পাশে হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি খাতুনসহ কয়েকজন নার্স ও ওয়ার্ড বয় লাঞ্ছিত হয়। ঘটনার পর শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আাবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) মো: ওবায়দুল্লাহ বলেন,’হাসপাতালে ওয়ার্ড ভিজিট এর সময় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনে আমি ওখানে গেছিলাম।হাসপাতাল সুপার এর সাথে কথা হয়েছে। ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে।’
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডা. জামির মোঃ হাসিবুর সাত্তার বলেন, ‘মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটছে। তবে একজন জনপ্রতিনিধি ও চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আজকে যে তান্ডব চালিয়েছে এতে হাসপাতলের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হাসপাতালের সকল স্টাফ কর্ম বিরতিতে যেতে চাচ্ছে। আমরা হাসপাতালের সকল স্টাফ মিটিংয়ে বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আগের ঘটনাগুলোতে পুলিশে অভিযোগ করে কোন ফল পাওয়া যায়নি,আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আদালতে মামলা করব।