পরিনত উন্নয়নের জন্য পরিবর্তন চাই: দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নির্বাচনী প্রচারনায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
নির্বাচনের তারিখ যত এগিয়ে আসছে ততো ঈগল প্রতীকের পক্ষে জনসমাগম বাড়ছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনী আসনটির সর্বত্র বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার কর্মী-সমর্থকরা। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গার এটিম মাঠে ঈগল প্রতীকের বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দুর্নীতিমুক্ত চুয়াডাঙ্গা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দিলীপ কুমার। তিনি উন্নয়নের জন্য পরিবর্তন চান। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি জেলার সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। সমাবেশে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ এসময় ঈগল প্রতীকের স্লোগানে মুখর করে তোলেন।
গতকাল বেলা ২ টার পর থেকে সমাবেশ মঞ্চ নেতা-কর্মীতে পরিপূর্ণ হতে থাকে। উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর মেয়র, উপজেলা যুবলীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বড় অংশই এই জনসভায় অংশ নেন। চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ দলে দলে মিছিল নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তারা ঈগল প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল দিয়ে এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন।
আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু মিয়ার সভাপতিত্বে জনসভায় নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন। তারা তাদের বক্তব্যে বিগত আমলে উন্নয়ন ও সুশাসন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তারা আশা করেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ আগরওয়ালা বিজয়ী হলে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ে উঠবে। সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, চুয়াডাঙ্গাবাসী আজ পরিবর্তন চায়। তারা আর কোন নির্দিষ্ট পরিবারের গন্ডিতে আটকে থাকতে চায় না। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে উন্নয়ন হলেও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তার সুফল আসেনি। তাই আমি বিজয়ী হলে এই জেলাকে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গায় রূপ দেব।
দিলীপ আগরওয়ালা আরো বলেন, এই আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গার ধুলো-মাটি আমার গায়ে লেগে আছে। আমি এই জনপথের মাটি ও মানুষের টানে বার বার ছুটে আসি। এই টানই আমাকে নামিয়েছে ভোটের মাঠে। এই টানই আমাকে নামিয়েছে ঈগল প্রতীক নিয়ে। পরিবর্তনের জন্য। এই জনপদের। কি পরিবর্তন চান আপনারা? ইনশাআল্লাহ সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আপনাদের চেষ্টায় পরিবর্তন আসবেই। পরিবর্তন না হলে এই জনপদের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের স্লোগান হবে, “উন্নয়নের জন্য পরিবর্তন চাই। “আমি নির্বাচিত হলে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো, আলমডাঙ্গায় হাসপাতাল হবে, সদরে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করবো। এখানে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবো।
সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধের আহবান জানিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক। তাই নির্বাচনের মাঠে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। এসময় তিনি প্রত্যেক নির্বাচনী আসনের প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মডেল মসজিদ, মাদরাসা, গোরস্তান, শ্মশান, মন্দির গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন।