এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হলো কক্সবাজার।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল এগারটার সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের নবসৃষ্ট ঈদগাঁও উপজেলার ভাদীতলার পূর্ব দরগাপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭০ টি পরিবারকে প্রথম ঘর করে দিই। সেখানে জমির অভাব থাকায় ব্যারাক হাউস করে প্রত্যেকের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেছিলাম এবং ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করেছিলাম।
শারীরিক প্রতিবন্ধী হুসনেরা ও রবিউল আলম নামের দুইজন উপকারভোগী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তারা অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এদিন কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ১৪৬, সদর উপজেলায় ৭৫,মহেশখালী উপজেলায় ৪০ টি পরিবারের মাঝে দেওয়া হয় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পাকা ঘর ও ২ শতক জমির চাবি-দলিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য,জেলা প্রশাসক,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা-উপজেলার দলীয় নেতৃবৃন্দ,সরকারী কর্ম কর্তাসহ স্থানীয় বিপুল সংখ্যক লোকজন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাস ভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার মুহূর্তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলেছেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রীকে করতালির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত লোকজন।
জেলা প্রশাসন সূত্র মতে, কক্সবাজার জেলার ৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯২৫। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম পর্যায়ে (১ম ধাপ) এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৬৬৪টি পরিবারের মধ্যে গৃহ নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে কক্সবাজারের সদর, ঈদগাঁও এবং মহেশখালী উপজেলায় গৃহ ও ভূমি হস্তান্তর করা হয়।