সিপন রানা নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি : কোরবানি ঈদের আর দুই সপ্তাহ বাকি। ঈদকে কেন্দ্র করে এখন টাঙ্গাইলের নাগরপুর বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম ওঠানামা করছে। এদিকে আসছে ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েই চলছে আলু, পেঁয়াজ এবং রসুনের দাম। কোরবানি ঈদের এসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ছে। আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। এতে অস্বস্তিতে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। সোমবার (৩ জুন) নাগরপুর সদর কাঁচা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা , লাল আলু ৫৫ টাকা, সাদা আলু ৬০ টাকা, বগুড়ার দেশি আলু ৭০ টাকা, দেশি রসুন ২২০ টাকা, চায়না রসুন ২৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা, রসুনের দাম ১০ টাকা এবং চায়না ও ভারতীয় আদা ২০ টাকা কেজি প্রতি দাম বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিক্রেতা আলতাব বলেন, এখন আর দাম কমার সুযোগ নেই। শুধু দাম বাড়বে। ঈদের আগ পর্যন্ত এমন দামই থাকবে। আরেক বিক্রেতা আজিম জানায়, কোরবানি ঈদের আগে চাহিদা বাড়ায় সাধারণত আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কয়েকদিন পর হয়তো আরো বেড়ে যাবে। বাজার করতে এসে সাধারণ ক্রেতা মো. মিজান বলেন, রসুনের দাম মনে হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে ২০ টাকা করে বাড়ছে। বাজারের সঠিক তদারকি হচ্ছে না। আর হঠাৎ করেই আলু, পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেলো। কোনো বিশেষ উৎসব থাকলে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় এটা উচিত নয়।
এদিকে, এসব পণ্যের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম যেমন – বর্তমান বাজারে প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, চিনি (প্যাকেট) ১৪৫ টাকা, চিনি খোলা ১৩০ টাকা, মোটা মশুর ডাল ১১০ টাকা, চিকন মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাই ডাল ১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, খেসারি ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, বোতল সয়াবিন ১৬৭ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন সিটি সুপার ১৪৭ টাকা লিটার, খোলা সরিষার তেল ১৯০ টাকা লিটার, আটা প্যাকেট ৫০, আটা খোলা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।