প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়াপ্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনা করে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এই বিশেষ ফ্লাইটে ২৭১ জন কর্মী মালয়েশিয়া গেলেও বাকি থাকবে আরও ৩১ হাজার ৪০৩ জন কর্মী।
শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়বে। বিমানের ব্যবস্থাপক জনসংযোগ মো. আল মাসুদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে একটি বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ফ্লাইটে মোট ২৭১ জন যাত্রী পরিবহন করা হবে।’
তিনি জানান, ‘ফ্লাইটের যাত্রীদের নামের তালিকা, পাসপোর্ট নম্বরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিমানের মতিঝিল বিক্রয় অফিসে প্রদান করবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)। তালিকা অনুযায়ী নগদ টাকায় ফ্লাইটের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন প্রবাসীরা। বিশেষ অতিরিক্ত ফ্লাইটের ভাড়া জনপ্রতি ৭৩ হাজার ৬১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী ভিসায় যাওয়ার সময় শুক্রবার রাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই ভিসা ও অনুমোদন পেলেও উড়োজাহাজের টিকিট না পাওয়ায় বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩১ হাজার ৭০১ জন শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়ার গত মার্চের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ মে অর্থাৎ শুক্রবারের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। ২১ মের পর আর অনুমোদন দেওয়ার কথা না থাকলেও বিএমইটির তথ্য বলছে, মন্ত্রণালয় আরো এক হাজার ১১২ জন কর্মীকে দেশটিতে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত দেশটিতে চার লাখ ৯১ হাজার ৭৪৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য বলছে, শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে মাত্র এক হাজার ৫০০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন, সেই সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বিশেষ ফ্লাইটে ২৭১ জন কর্মী গেলে সংখ্যাটি ১ হাজার ৭৭১ জনে দাঁড়াবে। অর্থাৎ, অনুমোদনকৃত ৩১ হাজার ৪০৩ জন কর্মীর যাত্রা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার বলেন, আপাতত সময় বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। শুক্রবার কর্মীরা পৌঁছানোর পর যারা বাকি থাকবেন তাদেরকে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও ১৪টি দেশ একই সমস্যায় পড়েছে। আমরা আমাদের সিংহভাগ কর্মীদের পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। সময় বাড়ানোর সুযোগ না থাকলেও আমরা এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত