প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৭:১০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২২, ২০২৩, ১:২৭ অপরাহ্ণ
কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো
কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো
অনেক আগের কথা (২০০০ সালের দিকে)
নটরডেম কলেজের এক ভাইকে দেখেছিলাম । পড়াশুনার ধরনটা বলি । কলেজ থেকে এসে সে ঘুমাতো । এরপর রাতের ডিনার করে পড়তে বসতো । ড্রয়ারে থাকতো ১২/১৫ বিভিন্ন ধরনের কলম । বিভিন্ন ব্রান্ডের অগনিত পেন্সিল। দিস্তা দিস্তা খাতা টেবিলের পাশে রাখা ছিল । কলেজ লেভেলের সবগুলা বই সুন্দর করে বাধাই করে নতুন মলাট করা । প্যাকেট ভর্তি দামী ইরেজার।
এই মানুষটা পড়ত আর লিখতো । লিখতো আর পড়তো । বিরক্ত লাগলে উঠে গোসল করে আবার পড়তে বসতো।
এভাবে চলতো সারা রাত । খালি কলমগুলো পড়ে থাকতো টেবিলের পাশে, দিস্তা দিস্তা খাতা শেষ হয়ে টেবিলের নিচে জমতো ।
এরকম ভয়ঙ্কর ধরনের পড়াশুনা করেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে সে বুয়েট ,ঢাবি , জাবি ,রাবি ,চবি থেকে শুরু করে কোথাও চান্স পায় নি।
আমি আজও হিসাব মেলাতে পারি না কেন সে চান্স পায় নি । কি এমন বাকি ছিল যা সে করেনি ?
আর কিভাবে পরিশ্রম করলে ভালো করা যেতো ?
এখন সে কি করে জানেন ?
সে কোন পড়াশুনাই করে না । একটা বেসরকারী ভার্সিটি থেকে নামমাত্র ডিগ্রি নিয়ে সে কোন রকমে আছে । আগের সেই তেজ নাই । নটরডেমিয়ান বলে আলাদা কোন ভাবও নাই ।
আরেকটা ছেলে ।
SSC তে এভারেজ রেজাল্ট ।
ইন্টারে এ ।
কোন রকমে ওয়েটিং থেকে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে ।
এরপরেরটা ইতিহাস । ডিপার্টমেন্টে রেকর্ড রেজাল্ট ।
অনার্সে ফাস্ট । মাস্টার্সে ফাস্ট । বাইরের কোন নামী দামী ক্যাম্পাসে ডক্টরেট করা এখন তার জন্য কোন ইস্যু না ।
চবিতে এপ্লাইড ফিজিক্সে এক ছোট ভাই ছিল ।
কোন রকমে এসএসসি আর ইন্টারের বাধা পেরিয়ে এখানে এসে এপ্লাইডে ভর্তি হয়েছে । বাকিটা ইতিহাস । ডিপার্টমেন্টে রেজাল্ট 3.89 !!!
আবার এরকমও আছে । ক্যাম্পাসে সুপার রেজাল্ট । চাকুরীর পরীক্ষায় কোন সফলতা নাই । তিন বছর ধরে বেকার । লোকে এখন সন্দেহ করে ভার্সিটির রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক ?
দুর্দান্ত মেধা নিয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে । অথচ
মেডিকেলে এখন ফাস্ট ইয়ারই পাস করতে পারে না ।
অন্যজন কোটা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল মেডিকেলে । এক
চান্সেই MBBS পাশ করে ফেলেছে ।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত