কবি:মাহমুদুল হাসান শান্ত
সবুজে মোড়া বিজয়ের বেশ,
রক্তে আঁকা বাংলার দেশ।
মাথায় বাধা লাল-সবুজ ব্যানার,
বুকের মাঝে গৌরবের কানার।
ঐতিহ্য ধরে, ইতিহাস বলে,
এই মাটির গল্প রক্তের দলে।
জয় বাংলার ডাক শুনি দূর-দিগন্তে,
স্বপ্নের পতাকা লুটায় প্রতিটি প্রান্তে।
সবুজ পাঞ্জাবির গায়ে সাহসের রঙ,
নতুন প্রজন্মে জাগুক সেই ঢঙ।
বিজয়ের বারতা সবার কণ্ঠে,
জাগ্রত হোক বীর-বাংলা অন্তর হতে।
সাহসী চেহারায় দেশের প্রেম,
চোখের তারা জ্বলে একাত্তরের হেম।
সবুজের ছোঁয়ায়, লালের ছায়ায়,
বাংলার স্বপ্ন আজও বুকে জ্বলে নির্ভয়।
কবিতা :হাসিমুখের সন্ধ্যা
কবি: মাহমুদুল হাসান শান্ত
রাতের আকাশে নীরব আলো,
চোখে ফুটে উঠেছে প্রশান্তির পালো।
হাসিমুখে ভরপুর শান্ততার ছায়া,
দিনের শেষে মনে জেগেছে মহিমার মায়া।
চাদরের কোণায় লাল সুতোর ফাঁদ,
জীবন যেন রঙিন, মাটিরই সাধ।
এক টুকরো সুখ জমেছে চোখের তারায়,
রাত্রির কোলেই স্বপ্নেরা হারায়।
শান্ত মনের গহীনে মৃদু হাওয়া বয়ে যায়,
রাতের নিস্তব্ধতা প্রিয় স্মৃতি সাজায়।
চিরচেনা শহর, অচেনা পথের গান,
হাসি দিয়ে মুছে ফেলে সব ক্লান্তির মান।
হাসিমুখে বলুক হৃদয়ের কথা,
এই সন্ধ্যাটা থাকুক চির শান্ত-ভাসা।
রাত বাড়ুক সুখে, হারিকেনের আলোয়,
জীবন বয়ে যাক ভালোবাসার ঢেউয়ে-নাওয়ে।
কবিতা :মায়ের কোলে শিশু
কবি: মাহমুদুল হাসান শান্ত
মায়ের কোলে ফুটে ওঠে,
শান্তির ছবি নরম, মমতায় গড়া।
শিশুর চোখে পৃথিবী নতুন,
স্বপ্নে বাঁধা উজ্জ্বল ঘেরা।
সবুজ বনের মাঝে আলো,
মায়ের হাসি, যেন প্রভাতের গান।
শিশুর মুখে ম্লান হয়নি ভাব,
জীবন জুড়ে মমতার টান।
এই কোলে বাঁচে হাজার আশা,
ভালোবাসার বুননে দোল খায় মন।
একটি জীবন শুরু হয় ধীরে,
মায়ের ছায়ায় মিলুক জীবন ধ্রুব-তরুণ।
ছোট্ট কোলেই পৃথিবী আলোয় ভরে,
মায়ের বুকেই তার সব ভরসা পড়ে।
শিশুর হাসি, মায়ের স্নেহ,
এই ভালোবাসায় দিন হোক সার্থক স্নিগ্ধ প্রহর।
কবিতা :ধর্মের নামে দ্বন্দ্ব
কবি:মাহমুদুল হাসান শান্ত
তুরাগ তীরে শান্তির ধ্বনি,
ধর্মের মোহে বাজল যুদ্ধের বাণী।
তাবলীগের নামে বিভেদের মেলা,
শান্তি কি তবে হলো ছলনার খেলা?
মাঠের মাঝে লেগেছে রক্তের দাগ,
ধর্ম কি শেখায় এমন তীব্র বিরাগ?
চারটি প্রাণ হারালো নির্মম খেয়ালে,
পঞ্চাশ শরীর কাঁদে আহতের জ্বালে।
শান্তি যেখানে, সেখানে দ্বন্দ্ব কেন?
ধর্মের পথে এত তীব্র ক্রন্দন কেন?
ভ্রাতৃত্ব ভুলে ভাঙছে ঐক্যের দেহ,
কোথায় হারালো মানবতার স্নেহ?
তুরাগ কি তবে শান্ত হবে আর?
ভ্রাতৃত্ব ফিরবে কি ভুলের পার?
ধর্মের পতাকা উড়ুক আকাশে,
দ্বন্দ্বের আঁধার মুছুক বিশ্বাসে।
কবিতা :গণতন্ত্রের নতুন সকাল
কবি:মাহমুদুল হাসান শান্ত
সংবিধানের পাতায় লেখা যে গল্প,
বদলে দিলো হাইকোর্টের রায়।
তত্ত্বাবধায়ক স্বপ্ন হলো বিলীন,
গণভোটের পথ হলো ক্ষীণ।
রাজপথে ধ্বনি, আশার কানাকানি,
কে দেবে বিচার, কে আনবে জানি।
নির্বাচনের নামে প্রহসনের খেলা,
জনতার মঞ্চে কি উঠবে মেলা?
পঞ্চদশের ধারা, বাতাসে ঝরা পাতা,
বদলায় কি ভাগ্য, নাকি ব্যথা।
শাসনের মঞ্চে থাকবে কার সুর,
মানুষের আশা, নাকি বিভ্রান্তি ঘোর।
তবু আশা জাগে, একদিন আসবে আলো,
গণতন্ত্র হবে মুক্ত, সবার ভালো।
তত্ত্বাবধায়ক, গণভোট কিংবা আর কিছু,
মানবতার পক্ষে গড়বে দিন সুখের পিছু।
কবিতা :গণতন্ত্রের সন্ধানে
কবি: মাহমুদুল হাসান শান্ত
পথ হারানো গণতন্ত্রের কান্না,
যেথা নেই সঠিক নীতি ও জান্না।
নির্বাচনের নামি ভ্রান্তের ছায়া,
জনগণের আশা কি তবে মরে যায়?
পঞ্চদশ সংশোধনীর আলোছায়া,
বাতাসে উড়ে যে প্রশ্নের কায়া।
তত্ত্বাবধায়ক স্বপ্ন কি ফিকে হয়,
গণভোটের ধারা কেবল অতীত রয়?
শাসনের ভার কি থাকবে ন্যায়ের,
নাকি রাজনীতি হবে স্বার্থের জায়ের?
গণতন্ত্র, তুমি কি ফিরবে আবার,
মানুষের হৃদয়ে আনবে নতুন আবাহনবার?
তাই কবির কলমে প্রশ্ন ওঠে বারবার,
নতুন ভোর কি আনবে সত্যের রোশনাই দরবার?
নাকি অন্ধকারে হারিয়ে যাবে সব,
তবু হৃদয়ে বাঁচুক আশার প্রদীপের রব।