অথই নূরুল আমিন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একশ দিন পূরণ হতে মাত্র দুই তিন দিন বাকি আছে । এই একশ দিনে দেশের নব্বই ভাগ জনগণের মাঝে নানারকম প্রশ্ন জেগে বসে আছে ।
কি হতে চলেছে দেশে? বতর্মান সরকার দেশকে কি করতে চাচ্ছে। দেশের এরকম অবস্থা কতদিন থাকবে। নিত্য পণ্যের মূল্য আদৌ কমবে কিনা ? দেশে ছয় কোটি জনগণ হলো নিম্ন আয়ের।
ওরা কি পারবে তাদের সংসার চালাতে এতো দামে পণ্য কিনে ? দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী আরো বেশিদিন ব্যারাকের বাহিরে থাকবে তো। নাকি সহসা উঠে যাবে তারা। এরকম অগণিত প্রশ্ন আজকে প্রায় ধনী গরিব শিক্ষিত মুর্খ সবার মুখে মুখে। অনেকেই বলছেন, সমগ্র জাতি আজকে হতাশায় আছে। কেউ কেউ দৈনিক বিভিন্ন অঘটনের জন্ম দিচ্ছেন। অনেকেই তামাশা দেখছেন।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ যদি হয় একটি নিরপেক্ষ সুস্থ সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়া। সেই বিষয় গুলোর অগ্রগতিও আমরা কিন্তু দেখছি না। এদিকে নির্বাচন দিতে যদি সত্যি সত্যি বিলম্ব হয়। তাহলে জনগণ কেন লোকসানী হবে। নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করে করে
। নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে তো রাজনৈতিক দল গুলো। এখানে জনগণের কিছু না
। তারা শুধু ভোট দেবে। নির্বাচন যদি দেরি হয়। এরকম বলেন বিষয় নিয়ে আজকে সাধারণ জনগণের কোনো চিন্তা নেই। যদি জনগণের জন্য সেই কাজ গুলো আজকের সরকার করতে থাকে। তাই অতিদ্রুত জনগণের বৃহৎ স্বার্থরক্ষায় নিম্ন পদক্ষেপ গুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি। ১. নিত্য পণ্যের মূল্য কমানো। ২. শিক্ষিত বেকারত্ব দূর করতে সরকারি চাকরি অথবা আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ৩. উৎপাদন মুখী কৃষি খামার ও ফার্ম সহ এই জাতীয় কর্মমুখী প্রতিষ্ঠানে সহজ শর্তে ব্যাংক লোন দেয়া।
৪. দেশের সকল জেলা উপজেলা ওয়ার্ড ইউনিয়ন জুরে খুব দ্রুত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সকল প্রকার ভাতা নতুন করে উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা। সঠিক ও নিরপেক্ষ ভাবে তালিকা প্রণয়ন করা। ৫. ঢাকা শহরকে যানজট মুক্ত করতে।
শহরের নিম্ন আয়ের জনগণকে শহরের বাহিরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয়া। ৬. শিক্ষার মান উন্নত করতে এবং শতভাগ শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম পযর্ন্ত সকল শিক্ষার্থীদের কে অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা আজকে সময়ের দাবি। ৭. ওয়ান থেকে দশম শ্রেণি পযর্ন্ত স্কুল পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের জন্য ক্লাস করা বাধ্যতামূলক করা এবং শনিবারের ছুটি বাতিল ঘোষণা করাসহ নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময়। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার এই মর্মে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, বতর্মানে বাংলাদেশে প্রায় ছয় কোটি জনগণ বেকার। এখানে শিক্ষিত অশিক্ষিত যুবক বৃদ্ধসহ, একটি রাষ্ট্রের তিন ভাগের এক ভাগ নাগরিক বেকার রেখে কোনো ভাবেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বা সুশৃঙ্খল কোনোটাই করা সম্ভব নয়। আশা করি সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে আরেকটি ভাষণ দেবেন। আশা করি সেই ভাষণে থাকবে জাতি গঠনে বা উন্নয়নের দিক নির্দেশনা।
অথই নূরুল আমিন কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ১৪. ১১. ২০২৪