ছয় মাস আগে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইবি থানাধীন শান্তিডাঙ্গা গ্রামে এক দারিদ্র্য পরিবারে জন্ম হয় মুরসালিন হোসেনের। তার জন্মে আনন্দে ভরে উঠে পরিবারটি। মুরসালিনের জন্মের আগে পরিবারটি তাদের আরেক সন্তানকে চিরদিনের জন্য হারিয়েছিল। তবে বেশি দিন পুত্র সন্তানের জন্মের এ আনন্দ ধরে রাখতে পারেনি ওই পরিবার। কারণ যে বয়সে সকলের আদরে বড় হয়ে উঠার কথা ছিল সেই বয়সে মারাত্মক হার্ড ছিদ্র ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মুরসালিন। যার চিকিৎসার ব্যয় সবমিলিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মতন। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরাই মুরসালিনের পিতা মুজিবর হোসেনের। সেখানে তার চিকিৎসার জন্য খরজ করা অসম্ভব অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে।
মুরসালিনের পিতা পেশায় একজন রং শ্রমিক। প্রতিনিয়ত কাজ থাকে না তার। কাজের মজুরি দিন ৪০০-৫০০ টাকা। এতে পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। নিজের থাকার জন্য নেই জায়গা জমিও। পরের জমিতে করা ঘরে বসবাস ৫ সদস্যের পরিবারটির। নিজের শেষ সম্পদ, ধার-দেনা ও কিস্তি তুলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা করা হয় মুরাসালিনকে। তবে পরিবারটির কাছে মুরসালিনের চিকিৎসা করানোর মত আর কিছু নাই। তাই মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা মুরসালিনকে চিকিৎসা দিতে পারছেনা পরিবারটি। সমাজের বিত্তবান শ্রেণির মানুষদের নিকট মুরসালিনের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আকুতি তার বাবা-মায়ের।
জানা যায়, মুরসালিনকে চিকিৎসা প্রদানের জন্য সর্বপ্রথম কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাজশাহী থেকে পাঠানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে। মুরসালিনের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা- নিরীক্ষা অপারেশনসহ চিকিৎসার যাবতীয় খরজ বহন না করতে পারায় তাকে নিয়ে ফিরে আসে পরিবারটি। অথচ চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুটি।
মুরসালিনের মাতা মোসাঃ শ্যামন্তিয়ারা বলেন, আমরা আমাদের যা ছিল তা দিয়ে মুরসালিনকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছি। রাজশাহী থেকে এসে কিস্তি তুলে ধারদেনা করে ঢাকায় গেছি।আমাদের সব টাকা খরজ হয়ে গেছে। মুরসালিনকে বাঁচাতে সবাই যদি এগিয়ে আসতো তাহলে ওর চিকিৎসা করাতে পারতাম।
মুরসালিনের পিতা মজিবার হোসেন বলেন, আমি আমার এক ছেলেকে হারিয়েছে। তারপর এ ছেলে হয়েছে। সন্তান হারানোর বেদনা যে হারিয়েছে সেই বুঝবে। আর সন্তান মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। পিতা হিসাবে আমার চিকিৎসা করানের মত সামর্থ্য নেই। আমি কি করব বুঝতে পারছিনা। আমার এক শতক জমিও নেই যে বিক্রি করব। সমাজে যারা বিত্তবান আছে তারা যদি আমার পাশে দাঁড়াতো আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য তাহলে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতাম।
মুরসালিকে সাহায্যের জন্য
বিকাশ: ০১৭১৫০৭২৩৩৪ (ব্যক্তিগত)
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: ৩০১০৬০১০১৪৯৮২ (সোনালী ব্যাংক)।