ফুলছড়িতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
“বাল্যবিবাহ হচ্ছে এবং রেজিস্ট্রি করতে আসা কাজী সহ ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ” ঘোষনা করেছেন কঞ্চিপড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু।” ফুলছড়িতে ইউনিয়ন পর্যায়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গ্রাম,পাড়া মহল্লায় ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ব্রাক। মঙ্গলবার ফুলছড়ি উপজেলা কঞ্চিপড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান,পরিষদের ওয়ার্ড প্রতিনিধি (মেম্বার) ভাইসচেয়ারম্যন ,গন্যমান্য ব্যাক্তী ,কাজী এবং পুরোহিতদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা (সালু) সভাপতিত্বে ফুলছড়ি উপজেলা ব্র্যাকের “সামাজিক ক্ষমতার আইনের সুরক্ষা কমিটির কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র রায় বাল্যবিবাহ বিষয়ক কর্মসূচির কার্যক্রম এবং বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। ধারাবাহিভাবে এই উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে তাদের এই কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান এই ব্রাক কর্মকর্তা সভাপতির বক্তব্যে সোহেল রানার সালু বলেন আমার ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ হচ্ছে এবং সেই বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে আসা কাজি সহ ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি ,আরো জানান গাইবান্ধা জেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বক্তব্যকালে তিনি বলেছেন যেই পরিবারের বাল্যবিবাহ হচ্ছে সেই পরিবারকে সরকারি সকল সহায়তা থেকে বঞ্চিত করলেই বাল্যবিবাহ রোধের অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে , পরামর্শটি মাসিক সমন্বয় সভায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়।
কঞ্চিপরা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হামিদ জানান বাল্যবিবাহ হচ্ছে এরকম খবর আমরা জানতে পারলেই সঙ্গে সঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বাল্যবিবাহ বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জানাই । এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন বাল্যবিয়ে হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে উক্ত বিবাহ যদি বাল্য বিয়ের আওতায় পড়ে তবে মোবাইল কোর্টের কোর্ট পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ আইন অনুযায়ী জেল জরিমানা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি