প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ২:৪২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১২, ২০২৪, ২:২৭ অপরাহ্ণ
কোন বোর্ডে জিপিএ-৫ কত?
কোন বোর্ডে জিপিএ-৫ কত?
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ রয়েছে ঢাকা বোর্ডে।
রোববার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, সব বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি পাসের হার যশোর বোর্ডে। আর সবচেয়ে কম পাসের হার সিলেট বোর্ডে। তবে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ রয়েছে ঢাকা বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯২ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী।
রাজশাহীতে পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবার পাস করেছে ৮৯.২৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮ হাজার ৭৪ শিক্ষার্থী। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৭.৮৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৬ হাজার ৮৭৭ জন।
যশোরে পাসের হার ৯২.৩৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুরে পাসের হার ৭৮.৪৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী।
ময়মনসিংহে পাসের হার ৮৪.৯৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ১৭৬ জন। কুমিল্লায় পাস করেছে ৭৯.২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১২ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবারের ফলাফলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতবার পাসের হার ছিল ৭৮.৪২ শতাংশ। জিপিএ- ৫ পেয়েছিল ১১ হাজার ৬২৩ জন।
চট্টগ্রামে পাসের হার ৮২.৮০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ শিক্ষার্থী। গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৮.২৯ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১ হাজার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী।
সিলেটে পাসের হার ৭৩.৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৯.০৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ৫০৫ জন। বরিশালে পাসের হার ৮৯.১৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ১৪৫ জন।
এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৬৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) ৮১.৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৮ জন।
এবার এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১২ মার্চ শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও ভোকেশনালের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১২ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২১ মার্চ শেষ হয়।
সারা দেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কোভিডের পর এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়মানুযায়ী, এবারো পরীক্ষা শেষ হওযার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হলো।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল মিলছে। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাচ্ছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে এসএমএস করেও জানা যাচ্ছে ফল।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত