ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. অন্তরা খাতুন। একটা শব্দ বললে মূহুর্তেই সে লিখে দেন একটি কবিতা। এমন প্রতিভায় মুগ্ধ তার শিক্ষক, সহপাঠী ও এলাকাবাসীরা।
অন্তরা খাতুন উপজেলার ২ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের কানাপুকুরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আসলাম হোসেনের ছোট মেয়ে।
কবিতা লেখায় পাশাপাশি অন্তরার প্রতিভা রয়েছে গল্প লেখায়, চিত্রাঙ্কনে, গান, নাচ ও খেলাধুলায়। যার মাধ্যমে অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরষ্কার। বর্তমানে অন্তরার সংরক্ষিত কবিতার সংখ্যা ২৭টির অধিক এবং রয়েছে দুইটির অধিক গল্পও।
অন্তরার সাথে কথা বলে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখার সময় তার কবিতা লেখা ও চিত্রাঙ্গেন আগ্রহ জাগে। তখন থেকে যা দেখত সে বিষয়ের উপর কবিতা গল্প ও চিত্রাঙ্গন করার চেষ্টা করতো সে। এভাবেই শুরু হয় তার যাত্রাটা। তার এ কাজে অনুপ্রেরণা যোগায় অন্তরার একজন গৃহশিক্ষক।
অন্তরার মাতা মোছা. রাশিদা খাতুন জানান, তার ঘরে দুইটি কন্যা ও একটি ছোট পুত্র সন্তান আছে। অন্তরা তার ছোট মেয়ে। মেয়েটার ছোট থেকেই পড়ালেখা, কবিতা, গল্প লেখা, খেলাধুলা, গান, নাচ ও চিত্রাঙ্কনের প্রতি আগ্রহ। সে কবিতা লিখে আমাকে সহ পরিবারের সকলকে দেখায়। প্রথমে তাঁর মা ভাবতো মেয়েটা হয়তো কোন জায়গা থেকে কবিতা দেখে লিখে আনে। পরে তার মা মেয়েটাকে বসিয়ে বলে, এই শব্দ নিয়ে একটা কবিতা লেখ, আমি দেখব। মেয়েটা মায়ের সামনে কবিতা লিখে দেয়। মেয়েটির শিক্ষকরা এগুলো দেখে খুবই খুশি হয়।
মেয়েটার মা রাশিদা আরোও বলেন, অভাবের সংসার হলেও মেয়ে মানুষের মত মানুষ হোক এর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা। মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এলাকাবাসীরা বলেন, মেয়েটি ছোট থেকে পড়ালেখা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি অঙ্গনে ভালো। আশাকরি মেয়েটি ভবিষ্যতে ভালো করবে।
অন্তরা বলেন, আমি সবার নিকট দোয়া প্রার্থী ভবিষ্যতে আমি আর কবিতা ও গল্প লিখতে চাই। আমার পরিবার আমাকে সার্পোট করছে। আমি ছবি আঁকতে, গান, নাচ ও খেলাধুলা করতে ভালোবাসী। এখন একজনকে দেখে হুবুহু তার মত ছবি আঁকার চেষ্টা করছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত