মোঃ নাঈম হোসেন পালোয়ান।
স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ লক্ষ্মীপুর রায়পুর নোয়াখালী প্রতিনিয়ত এই সেতু দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ও দীর্ঘ ১৯ বছর সেতু নির্মাণের ব্যয়ের দ্বিগুণ অর্থ আদায় হলেও বন্ধ হয়নি টোল আদায়।
আজও অব্যাহত রয়েছে টোল আদায় কার্যক্রম। এ সেতু দিয়ে মোটর সাইকেল টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু গতকাল সোমবার (০১ জুলাই) থেকে আবারও চালু করা হয়েছে মোটরসাইকেল থকে ৫ টাকা করে নতুন করে টোল আদায় শুরু করছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মোটর সাইকেল চালকরা। শিগগির সেতু ব্যবহারে টোল আদায় বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও জনসাধারণ। তবে জানা গেছে, ২০০৫ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপর চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ‘চাঁদপুর সেতু’। ২০০৫ সালের ১৭ই মার্চ এই সেতুর উদ্বোধন করেন বিএনপি সরকার। ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের হাজার হাজার যানবাহান চলাচল করে। প্রতিবার সেতু ব্যবহার করার সময় টোল দেওয়া লাগে যানবাহনের চালকদের।
দীর্ঘ ১৯ বছরে সেতু নির্মাণ ব্যয়ের দ্বিগুণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হলেও বন্ধ হয়নি টোল আদায়। এতে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বেকায়দায়। ফরিদগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি মরহুম ড শামসুল হক ভূঁইয়া চাঁদপুর রায়পুর লক্ষ্মীপুর ফরিদগঞ্জ এই সেতুর টোল আদায় করছে অন্যায় ভাবে
তিনি এই বিষয়টি জাতীয় সংসদেও তুলে ধরেছিলেন যেন চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর নোয়াখালী রায়পুর ফরিদগঞ্জ জনগণের সুবিধার্থে এসে তোর টোল ফ্রি করে দেওয়ার জন্য কিন্তু আজও টোল আঁধায় বন্ধ হয়নি । প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে এবং বছরে কোটি কোটি টাকা টোল আদায় করেন।
টোল আদায় বন্ধ না হওয়ায় গাড়ির চালকরা এসব যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯ বছরেও কেন বন্ধ হয়নি চাঁদপুর গাছতলা সেতুর টোল এমন প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী মো. মারুফ হোসেন দৈনিক শপথকে বলেন, ফরিদগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সামছুল হক ভূইয়া এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ টোল বন্ধের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু টোল বন্ধের চিঠি আমাদের দপ্তরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নতুন করে মোটর সাইকেল টোল আদায়ের বিষয়ে উপ-সহকারী মো. মারুফ হোসেন জানান, সেতু টেন্ডার হওয়ার সময়ই মোটর সাইকেল থেকে ৫ টাকা করে টোল আদায়ের বিষয়ে উল্লেখ করে আছে। ইজারাদাররা গত ৫ বছর কেন মোটর সাইকেল থেকে টোল আদায় করেননি এবং এখন কেন মোটর সাইকেল থেকে টোল আদায় করছেন এই ব্যাখ্যা ইজারাদাররা দেবেন।
তিনি আরও বলেন, সেতুর টোল বন্ধের ক্ষমতা আমরা রাখিনা। যতদিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে টোল বন্ধের চিঠি না আসবে আমরা সেতু টেন্ডার করে যাবো।
সেতু দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি চালক আমির জানান, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চাঁদপুরের এই সেতুতে টোল নেওয়া হচ্ছে। সেতু থেকেব দ্বিগুণ টাকা উত্তোলন হলেও কেন বন্ধ হচ্ছে না টোল আদায় প্রশ্ন তার। দ্রুত এই সেতুর টোল আদায় বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তিনি।
সেতু দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী মোঃ আবুল কালাম বলেন, টোল নেওয়া হয় বলে সিএনজি চালকরা আমাদের কাছে বাড়তি ভাড়া দাবি করে। তিনি দ্রুত টোল বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
সেতু দিয়ে চলাচলকারী মোটর সাইকেল চালক আলমগীর জানান, গত কয়েক বছর মোটর সাইকেলের টোল আদায় বন্ধ ছিলো। আজ থেকে আবারো তারা টোল আদায় শুরু করেছেন। হঠাৎ করে কেন টোল আদায় করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে ইজারাদাররা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন। তিনি এই সেতুর টোল দ্রুত বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন বাইসাইকেল এবং মোটর সাইকেল ছাড়া যেকোনো যানবাহন সেতু পার হতে হলে প্রতিবার গুণতে হয়ে বিভিন্ন অংকের টাকা। এক্ষেত্রে চালকদের দেয়া হয় না টোল আদায়ের রশিদ।
ইজারাদার বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী চাঁদপুর সেতুতে টোল আদায় করা হচ্ছে। টোল আদায়ের রশিদ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিদিন শত শত সিএনজি-অটোরিকশা যাতায়াত করে, এত দ্রুত সবাইকে রশিদ দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা বড় যানবাহনগুলোতে রশিদ দিয়ে থাকি।
মোটর সাইকেল টোল আদায়ের বিষয়ে তিনি জানান, গত ৫ বছর মোটর সাইকেল থেকে কোন টোল আদায় করা হয়নি। এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে। এখন সরকার থেকে মোটর সাইকেল টোল আদায়ের জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাই আজ থেকে মোটর সাইকেল থেকে ৫ টাকা করে টোল আদায় করা হবে। এদিকে যানবাহন ও যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেছেন যানবাহন থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে এজন্য যাত্রীদের ভালো বাড়িয়ে নিচ্ছে যানবাহন গাড়ি চালকরা। আবার এখন নতুন করে মোটর সাইকেল থেকে নতুন করে টোল আদায় করছে । মোটরসাইকেল চালকরা ও ও বিভিন্ন যানবাহন গাড়ি চালক ও যাত্রীরা এটাও মেনে নিতে পারছেন না । তাইতো তারা এ বিষয়ে মানববন্ধন করছেন এবং আন্দোলন করবেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীয় চালকরা। এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিষয়টি নজর দিবেন বলে মনে করছেন হাজার হাজার যানবাহন ও মোটরসাইকেল যাত্রীরা।
ঠিকানাঃ অস্থায়ী কার্যালয়ঃ হাউজিং নং – ১১১ (নিচ তলা), রোড নং-১১, ই-ব্লক, ইাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া।
কপিরাইট © ২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত