কুষ্টিয়া দূর্বাচারায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক জ*খম
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে দুইটি গ্রুপের মধ্যে মারামারি রাহাজানি। এই আধিপত্য বিস্তারের মধ্যে অনেক সহজ সরল সাধারন মানুষ হচ্ছে বলির পাঠা৷ কোন গ্রুপ বাড়িঘর ভাংচুর করছে, আর কোন গ্রুপ লুটপাট করছে। মাঝে মাঝেই চলছে এলাকায় গরম অবস্থা টানটান উত্তেজনা। সুযোগ পেলেই অন্য গ্রুপের লোকজনদের কুপিয়ে করা হচ্ছে হত্যার চেষ্টা। এই রকমই এক ঘটনা ঘটেছে। শহর থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাপ্পি সেখ (৩৫) নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সংবদ্ধ হয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে দূর্বৃত্তরা।
সোমবার (০৬ নভেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে ৭ টার সময় ইবি থানাধীন উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা শ্যামপুর এলাকার জামাল মেম্বার বাড়ির সামনে থেকে এই ঘটনা ঘটে। আহত বাপ্পি সেখ দূর্বাচারা শ্যামপুর এলাকার মৃত হাসেম সেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক সর্দার।
অভিযোগ উঠেছে, দূর্বাচারা এলাকার বজলু রহমান সেখের ছেলে ইমরান হোসেন(৩০),একই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে জামাল সেখ (মেম্বার) (৪৫),ফজলু রহমানের ছেলে কামাল শেখ( ৪৫), খোরশেদ বিশ্বাসের ছেলে বিষে ওরফে মিজানুর (৫২),বিষের ছেলে সোহেল বিশ্বাস (৩২),ফজলুর রহমান শেখের ছেলে কামরুল (৩৭),মস্তক মোল্লার ছেলে রতন(৫৫),দুলাল শেখ (৪০),লাবু মোল্লা (৬৫), মৃত মনসুর শেখের ছেলে গোবো(৫৫),দোলাল শেখের ছেলে এরশাদ (৩৫), আনিস সেখের ছেলে লতিফ(৫২), রেজাইন মোল্লার ছেলে সবুজ (২৪), কুমারখালী থানাধীন বাঁশগ্রাম এলাকার মৃত মুক্তারের ছেলে ছাত্র ছাচ্চু (৪০),দুর্গাচার এলাকার চাঁদ আলী মল্লিকের ছেলে জুয়েল (৪০),একই এলাকার রাহাতের ছেলে আব্দুল্লাহ(৩০),জামাল শেখের ছেলে অফি সেখ (৩০), রেন্টুর ছেলে রাকিব শেখ (৩৫),মইনুদ্দিনের ছেলে রেজাউল( ৩০), মৃত তোরাফ সেখের ছেলে সাহেব আলী (৪৫), মুভি সরদারের ছেলে আইনুদ্দিন (৫০), মফিজ সরদারের ছেলে মান সদ্দার (৪৫) সহ আজ্ঞাত অনেকেই। জামাল মেম্বারের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বাপ্পি শেখের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী সন্ধ্যার সময় বাজারে গিয়েছিল ফেরার পথে বজলুর বাড়ির কাচতি বজলুসহ বজলুর লোকজন নিয়ে মাথাই প্রথমে একটা ডাসা দিয়ে আঘাত করলি আমার স্বামী মাটিত পড়ে যায় তারপর আমার স্বামীর হাত-পা শরীরে পিটিয়েছে। ওরা আগে থেকেই উৎপেতে ছিল ২০-২২ জন লোকজন আমার স্বামীক মারার জন্য। ওরে দলে ভিরাতি চাইছিল আমার স্বামী যায়নি তাই এরকম মারেছে।
বাপ্পির দুলাভাই বলেন,আমার শালা কুষ্টিয়ায় পাইলিংয়ের কাজ করে প্রতিদিন কাজ শেষ করে সন্ধ্যার পরে বাড়িতে যাই প্রতিদিনের মতোই কাজ শেষ করে আজকে সন্ধ্যার পরে বাড়িতে যাচ্ছিল সে সময় বজলু মেম্বারের বাড়ির সামনে জুল মেম্বারের ছেলে বজলু মেম্বারের চাচাতো ভাই জামাল, কামাল, বজলু মেম্বারের চাচা গফুর, এছাড়াও সোহেল, সবুজ, মামুন, রস্তন,জুয়েল সহ আরো অনেকেই তার পথ রোধ করে মাথায় ডাসা দিয়ে কোপ দেয় পরে মারধর করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে।পরে বাপ্পির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
কুষ্টিয়া ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্নুর জায়েদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।