চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ই নভেম্বর) মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নস্থ চারিয়া বোর্ড স্কুল ইজতেমা মাঠের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাত ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।
জানা যায় তারা নগরীর বালুছড়া এলাকা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ফটিকছড়ি শাহনগরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হঠাৎ অপর একটি সিএনজিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ির একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিঅটোরিকশাটি দুমড়ে-মুছড়ে সড়কে উপর পড়ে। এ সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েন সিএনজির যাত্রীরা। ঘটনাস্থলেই চালক ও এক যাত্রী ছাড়া সবাই নিহত হন। উপস্থিত লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন । তবে ঘটনাস্থল বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত বাপ্পা দাশ বলেন, নিহত মায়া দাশ তার মামি। মূলত মামির বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার শাহনগর এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা পটিয়া থেকে বের হয়েছেন। ওই মূহুর্তে তার মাসহ সঙ্গীয় সবাই মারা গেছেন।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, লাশ হাইওয়ে থানাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান বলেন, সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ওসি আদিল মাহবুব বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত