ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার সিন্ডিকেট
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে জুয়া কারবার পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে নূর ইসলামের নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে করে প্রতিনিয়ত জুয়ার ফাঁদে পরে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকে। কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকজন তাঁর পরিচালিত জুয়ার আসরে জুয়া খেলেন বলে তথ্য রয়েছে। জুয়া কারবার পরিচালনার পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে অল্প কয়েকদিনেই অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি।
তার এ অবৈধ কার্যক্রমে কামু, সাগর সহ আরোও কয়েকজন প্রভাবশালী সহয়তা করে থাকেন। কেউ তাদের অবৈধ কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান করলে নূর ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেন বলে জানা যায়। এছাড়াও তারা প্রকাশ্যে বলেন পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবেনা। পুলিশ তাঁদের টাকায় কেনা গোলাম। যে তাঁদেরকে বাঁধা দিবে তাকে পুলিশ দিয়ে থানা হাজতে নিয়ে গিয়ে শায়েস্তা করা হবে।
জুয়া কারবার পরিচালনাকারী নূর ইসলাম উপজেলার ১ নং ত্রিবেণী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের শিতলিডাংগা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল মন্ডলের ছেলে। অপর সহযোগীরা একই গ্রামের বাসিন্দা ও সম্পর্কে চাচাত ভাই।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, উপজেলার শিতলিডাংগা, বোয়ালিয়া, পাটনির চর সহ বিভিন্ন জায়গায় তিনি প্রতিনিয়ত প্রকাশ্যে জুয়ার আসর বসান। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট-বড় নানা বয়সের ভ্যান চালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার লোকজন জুয়া খেলেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রতিনিয়ত নূর ইসলাম জুয়ার আসর বসান। এছাড়াও কালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন। এতে বাঁধা দিতে গেলে তার চাচাত ভাই কামু ও সাগর মিলে এসে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনা।
এ বিষয়ে নূর ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজী হয়নি। এছাড়াও মুঠোফোনের মাধ্যমে গনমাধ্যমকর্মীদের মারধরের হুমকি প্রদান করেন।
এবিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর কুমার দাশ বলেন, আমরা জুয়ার বিষয়ে কঠোর। বিভিন্ন স্থানে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এবিষয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।