কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে বাড়ির সবাইকে অচেতন করে কয়েক লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান ডাকাতির ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
গত (১৩ অক্টোবর) রাতে ডাকাতি হওয়ার পর কুষ্টিয়া সদর থানার অজ্ঞাতনামা একটি ডাকাতি মামলার সুত্র ধরে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক চৌধুরী পিপিএম এর নেতৃত্বে জেলা ডিবি পুলিশের একটি অভিযানিক টিম কুষ্টিয়া জেলা সহ আশেপাশের জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার নিয়ামত আলী মন্ডলের পুত্র মোঃ রাকিবুল হাসান(সাদ্দাম)(৩৫),
একই এলাকার মনছের মোল্লার পুত্র মোঃ মুরাদ মোল্লা(৪০),মৃত কফিল উদ্দিন জোয়াদ্দারের পুত্র মোঃ মিনহাজ উদ্দিন(৪৫),মৃত রহিম শেখের ছেলে মোঃ রেজাউল ইসলাম(৪২), দাউদ আলী ফরাজীর ছেলে মোঃ বজলুর রহমান(৩৫), ইবি থানাধীন লক্ষীপুর এলাকার আইন উদ্দিনের ছেলে মোঃ সাবু(৩৫), ভবানীপুর এলাকার ইউছুফ আলীর ছেলে মোঃ সরিাজুল ইসলাম (১৮), কুমারখালী যদুবয়রা এলাকার শফি উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুজন শখে (২২),ভবানীপুর এলাকার ইউসুফ আলীর স্ত্রী মনজুরা খাতুন (৫২)
কুষ্টিয়ায় ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবী করা চার দূষ্কৃতিকারী পুলিশের হাতে আটক
পুলিশ সুত্রে জানা যায়,গত ১৩/১০/২০২৩ রাত অনুমানিক দেড়টা হতে দুইটার মধ্যে যে কোন সময় কে বা কারা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার
দলোরুদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান(৫০)
এর বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে ডাকাতি সংঘটিত করে।
পরবর্তীতে মিজানুর রহমান কুষ্টিয়া সদর থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলা নং-৩১, তারিখ-১৩/১০/২০২৩, জিআর-৫৬৭/২৩, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলাটির দায়িত্বে কাজ করে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশ। তারই প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির মামলায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ।
ডিবি পুলিশের দেওয়া তথ্য সুত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মনজুরা খাতুন দীর্ঘ দিন যাবত মিজানুর রহমানের বাড়িতে রান্না,বান্না সহ বাড়ির কাজ করতেন এবং তিনি ওই বাড়িতেই থাকতেন।
এর মাঝে মনজুরা খাতুনের ছেলে মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে
একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নেয়। তারপর বাড়িওয়ালা মিজানুর রহমান তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারই জের ধরে এই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তারা। ডাকাতির পূর্বে কৌশলে বাড়ীর লোকজনদেরকে খাবারের মাধ্যমে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছিলো তারা।
তারপর একে একে মালামাল, সোনা,গহনা,টাকা লুট করে নেয় তারা।
গ্রেফতারের পর আসামী মোঃ রাকিবুল হাসান স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামীদের স্বীকারক্তি ও দেখানো মতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
এছাড়ও ডাকাতির কাজে অন্যান্য সহযোগী পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিবি পুলিশ।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আবু জাহিদ
কপিরাইট ©২০২৩-২০২৪ নবদেশ ২৪ মিডিয়া লিমিটেড | সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত