দৌলতপুরে সন্ত্রাসী মাদক চোরাকারবারীদের আতঙ্ক, ওসি রফিকুল ইসলাম
কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরের সাথে রয়েছে ভারতের বিস্তৃর্ন সীমানা এরিয়া। এই সীমান্ত ব্যবহার করে সংগঠিত হয় বহু অপকর্ম যে অপকর্মের পেছনে রয়েছে কাঁটাতারের চিন্হিত মাদককারবারী, সন্ত্রাসী, ব্লাকার, অস্ত্রব্যবসায়ী। সিমান্তের অপরাধ নির্মূলে বিজিবি কাঁটাতারের পাহারায় নিযুক্ত থাকলেও অপরাধ নির্মূলে পুলিশের দায়িত্ব সার্বক্ষনিক। দৌলতপুরে ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদান এর পর থেকে পাল্টে গেছে অপরাধ এর চিত্র। দৌলতপুরে দেড় মাসে ১৭ খুন এমন শিরোনাম পত্রিকায় পাতায় হলেও ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদান এর পরে হত্যা মামলা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। বর্তমানে গোষ্ঠী গত দ্বন্দ কিংবা সন্ত্রাসী হামলায় হত্যা এমন ঘটনা বন্ধু হওয়ায় সাধারন মানুষের মাঝে শান্তির সু বাতাস বয়তে শুরু করেছে। উপজেলার মাদককারবারীদের আতঙ্ক হয়ে তাদের নির্মুলে রাত দিন কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদান এর পরে উল্লেখ যোগ্য অভিযান
উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর বরইতলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ৩২ টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ। রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪:৩০ মিনিটে উপপরিদর্শক দর্জি আবু জাফর সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে ফজল মন্ডল(৭০) এর বাড়িতে অভিযান করলে বাড়ির আঙ্গিনায় চাষাবাদ অবস্থায় ৩২ টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। যার ওজন ৩১০ কেজি।
অভিযানের খবর টের পেয়ে ফজল মন্ডল ও তার স্ত্রী আম্বিয়া পালিয়ে যায়। আম্বিয়ার নামে দৌলতপুর থানায় মাদক মামলা চলমান রয়েছে।
এ দিকে এলাকাবাসী বলেন ওসি রফিকুল ইসলাম দৌলতপুর থানায় যোগদানের পরে, মাদকদ্রব্য , অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বিভিন্ন জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে মামলা দিয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে রফিকুল ইসলাম এক আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ শে জুন দৌলতপুর থানায় ওসি রফিকুল ইসলাম যোগদান করেন।যোগদানের পর থেকেই দৌলতপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থা নিয়ে আসার জন্য তার নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। ২৩ শে জুন থেকে অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৬৭ টি মাদক মামলা হয়েছে থানায়, আসামী গ্রেফতার হয়েছে ৮০ জন, উদ্ধার হয়েছে ফেন্সিডিল ৫২৪ বোতল, গাঁজা ৬১৬ কেজি ৩৫০ গ্রাম, ইয়াবা ২১৬৩ পিচ, টাপেন্টাডল ৯৪৪ পিচ, মদ ৪ বোতল ও ১০ লিটার। জুয়ারি আটক হয়েছে ৪৫ জন যাদের নামে পৃথকভাবে ৭ টি মামলা হয়েছে। এছাড়াও ৬ রাউন্ড গুলি সহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৩ টি।
দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীরা যে দলের হোক তাকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। দলীয় কোন্দল নিয়ে যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে ইতি পূর্বে তা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। সিমান্তের মাদক কারবারীদের গডফাদার কে ধরার পর থেকে মাদকের চালান কমে যায়। বর্তমানে আবার মাথাচারা দিতে শুরু করেছে এই অপরাধীরা জেল থেকে বেরিয়ে। মাদকের বিষয়ে কোন প্রকার কোন ছাড় নেই। মাদক উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ কাজ করতে গেলে ভুরভ্রান্তি হয় কেও এই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। পুলিশ এর কাজের ভুলকে বড় করে দেখলে অনেক সময় কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
বর্তমানে কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এইচ এম আব্দুর রকিব স্যার এর নির্দেষে দৌলতপুরে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে যদি কোন দল বা ব্যাক্তি রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা তাহলে তা কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করবে পুলিশ।
এদিকে সাধারন মানুষের দাবি অতিতে দৌলতপুরে কোন ওসি আসলে পক্ষ বিপক্ষে অবস্থান নিলেও রফিকুল ইসলাম এমন সুযোগ কাউকে না দেয়ায় অনেকেই তার বিরাগভাজন হয়েছেন। আমরা সাধারন মানুষ চায় ওসি দৌলতপুর হবে সবার।