এক যোগে সকল ইউনিয়নে ২১ ব্লকে আলোক ফাঁদ উৎসব পালিত
সারা দেশের ন্যায় বটিয়াঘাটা উপজেলার সকল ইউনিয়নে কৃষি অফিসের উদ্যোগে শত শত কৃষক কৃষাণীদের সাথে নিয়ে গত ২ অক্টোবর আলোক ফাঁদ উৎসব পালিত হয়। জানা গেছে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ২১ টি ব্লকে শত শত কৃষকদের উপস্থিতিতে এক যোগে উৎসব মুখর পরিবেশে এ উৎসব পালিত হয়েছে। আমন ফসলের ভালো ফলনের লক্ষ্যে পোকার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সনাক্ত করার জন্য চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিনা খরচে পোকা মাকড় দমনের লক্ষ্যে এ উৎসব পালিত হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান জানান, ক্ষতিকারক পোকা বিশেষ করে মাজরা ও পাতা মোড়ানোর মথ আলোতে আকৃষ্ট হয়ে আলোর কাছে আসে তখন আলোক ফাঁদের নীচে পানির পাত্রে পড়ে মারা যায়। ফলে পোকা বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না। উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ধ্রুব জ্যোতি সরকার জানান, যে সকল স্থানে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শন করি এবং উপস্থিত কৃষকদের উপকারী ও অপকারী পোকা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে অপকারী পোকা দমন ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেই। বটিয়াঘাটার সদরের কৃষক সমিরন জোয়ার্দার বলেন, আমরা মনে করতাম ফসলের সব পোকাই ক্ষতি করে তবে আজকে এই আলোক ফাঁদ স্থাপন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপন কুমার হালদার স্যারের মাধ্যমে জানতে পারলাম জমিতে উপকারী পোকাও থাকে। এখন উপকারী ও অপকারী পোকা সনাক্ত করে অপকারী পোকা দমন করতে পারবো। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বলেন, এবার উপজেলায় ১৭৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। আর এ আমন ফসল যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য উপজেলার ২১ টি ব্লকে আলোক ফাঁদের এ উৎসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আলোক ফাঁদ প্রক্রিয়ায় একটি ক্ষেত ও এর আশপাশের এলাকায় পোকা মাকড়ের পরিস্থিতি এবং উপস্থিতি নির্নয় করা সম্ভব হয়। এছাড়া উপজেলায় পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে ইতিমধ্যে সফলতা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, কৃষকদের আরও সতর্ককরণের জন্য আমার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের নিয়ে দলীয় আলোচনা, উঠান বৈঠক, অতন্দ্র জরিপ, স্কোয়ার্ড টিম গঠন সহ লিফলেট বিতরণ করছে কৃষকদের মাঝে। আশা করি কৃষকেরা এতে দারুন ভাবে উপকৃত হবে।